‘হাঁপিয়ে উঠছি’, রাজনীতিতে এসে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের অনেক বিধায়ক, মন্ত্রীকেই হাঁপিয়ে ওঠা, দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছিল। আর এই সকল হাঁপিয়ে ওঠা এবং দমবন্ধ হয়ে ওঠা নেতা-মন্ত্রীরা অনেকেই দল পরিবর্তন করে অন্য দলে নাম লেখান। তবে এসবের পরেও তৃণমূল পুনরায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তৃতীয় বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করে। আর এই সরকার গঠনের পরেও তৃণমূলের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে সেই হাঁপিয়ে ওঠার প্রসঙ্গ তুলতে দেখা গেল।

রাজনীতির আঙিনায় পা রেখে অধিকাংশ মানুষেরই স্বপ্ন থাকে জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠার। তবে জনপ্রতিনিধি হয়েও হাঁপিয়ে ওঠার মতো প্রসঙ্গ তুলেছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। তবে তার ক্ষোভ নিজের দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং রাজনীতির বিরুদ্ধে। বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তার ফেসবুক ওয়ালে।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “আমি হাঁপিয়ে যাচ্ছি। সত্যিই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি। যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমনভাবে কিছু জানতাম না, খানিকটা সুখে ছিলাম। এখন সব দেখে জেনে, সরাসরি যুক্ত হয়ে আর কোনও রাতেই ভাল মতো ঘুমতে পারছি না। কী এক কষ্টে মাঝরাতে উঠে পায়চারী করতে বাধ্য হই।”

এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর লেখায় যে ব্যাখ্যা উঠে এসেছে তা থেকে স্পষ্ট তিনি বিধায়ক হওয়ায় সাধারণ মানুষের তাকে ঘিরে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা তা নিয়েই বেশি চিন্তিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি লিখেছেন, “এত অভাবী-দু্ঃখী মানুষ, এতো তাঁদের সমস্যা। তাঁদের সকল আশা ভরসার কেন্দ্রে এখন এসে দাঁড়িয়ে পড়েছি আমি। আমাকে ঘিরে তাদের অনেক আশা প্রত‍্যাশা। যেন আমার কাছে কোন জাদুকাঠি আছে।”

প্রসঙ্গত, বিধায়ক অথবা অন্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অনেক নেতাকেই আধুনিক গাড়ি, নতুন বাড়ি কিনতে দেখা যায়। কিন্তু এই বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বিধায়ক হওয়ার পর রিক্সা ছেড়ে একটি টোটো কিনেছেন। এই টোটো কেনার চুক্তি হিসেবে তিনি যেমন পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন, ঠিক তেমনই তার আর কোন সখ সাধ নেই তাও জানিয়েছেন। পাশাপাশি লেখক এই বিধায়ক জানিয়েছিলেন, টোটো নিয়ে তিনি তার এলাকার গায়ে গঞ্জে ছুটে যেতে পারবেন, যেটা হয়তো নামি দামি গাড়ি পারবে না।