সিউড়ি শিয়ালদহ মেমু ট্রেনের ভাড়া কত, আর কি কি রয়েছে সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের পর বছর ধরে সিউড়ির বাসিন্দাদের দাবি ছিল, ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেসের আগে এমন একটি ট্রেন দেওয়া হোক যেটিতে চড়ে সকাল সকাল কলকাতা পৌঁছান যায়। দীর্ঘদিনের সেই দাবি দাওয়া মেনে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে রবিবার সিউড়ি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত এবং শিয়ালদহ থেকে সিউড়ি পর্যন্ত একজোড়া ট্রেন চালু করা হয়।

০৩১৭৯ শিয়ালদহ সিউড়ি মেমু এক্সপ্রেস ট্রেনটি শিয়ালদহ থেকে প্রতিদিন বিকাল ৫:২৫ মিনিটে ছাড়বে এবং সিউড়ি এসে পৌঁছাবে রাত্রি ১০:১৫ মিনিটে। অন্যদিকে ০৩১৮০ সিউড়ি শিয়ালদহ মেমু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিউড়ি থেকে প্রতিদিন ছাড়বে সকাল ৫:২০ মিনিটে এবং শিয়ালদহ পৌঁছাবে সকাল ৯:৫৭ মিনিটে। এই ট্রেনের স্টপেজগুলি হল সিউড়ি, দুবরাজপুর, পাণ্ডবেশ্বর, অন্ডাল, দুর্গাপুর, বর্ধমান, ব্যান্ডেল, নৈহাটি, শিয়ালদহ।

ট্রেনটি রবিবার চালু হওয়ার পর সাধারণ মানুষদের মধ্যে একগুচ্ছ প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। এই সকল প্রশ্নের মধ্যে প্রথম প্রশ্ন হল এই ট্রেনের ভাড়া কত? এছাড়াও এই ট্রেনে কোন এসি কামরা, রিজার্ভেশন কামরা, টয়লেট ইত্যাদি রয়েছে কিনা?

সিউড়ি থেকে শিয়ালদহ অথবা শিয়ালদহ থেকে সিউড়ি পর্যন্ত এই ট্রেনের ভাড়া পড়বে যাত্রী পিছু ৯৫ টাকা। অন্যদিকে সিউড়ি থেকে অন্ডাল অথবা অন্ডাল থেকে সিউড়ি এই ট্রেনের ভাড়া পড়বে যাত্রী কিছু ৩৫ টাকা।

ট্রেনটিতে অবশ্যই টয়লেট রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আলাদা করে কামরা। পাশাপাশি রয়েছে মহিলা এবং ভেন্ডারদের জন্য আলাদা করে কামরা। তবে এই ট্রেনটিতে কোনরকম রিজার্ভেশন অথবা এসি কামরা নেই। রিজার্ভেশন অথবা এসি কামরা না থাকলেও ট্রেনটি আরামদায়ক বলেই দাবি করেছেন এই ট্রেনের প্রথম যাত্রীরা। এছাড়াও তাদের দাবি, দ্রুতগতিতে এই ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে।