নিজস্ব প্রতিবেদন : শতাব্দীর ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্মুখীন তুরস্ক, সিরিয়া (Turkey syria earthquake)। রবিবার থেকে পরপর তিনবার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এই দুটি দেশ। দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় গেলে শুধুই চোখে পড়বে ধ্বংসস্তূপ, গৃহহীন মানুষজন, পচা গলা দুর্গন্ধ আর হাহাকার।
ইতিমধ্যেই তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃত্যু সংখ্যা ১৭ হাজার পার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এত মানুষের মৃত্যু কেউ হয়তো কোনদিন ভেবে উঠতে পারেননি। ভূমিকম্পের পর সে দেশে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে থাকা মানুষজনদের উদ্ধার করার জন্য বিশ্বের বহু দেশ হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে থাকা বাচ্চা থেকে বুড়ো প্রত্যেককে উদ্ধার করে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। এই সকল উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের তরফ থেকে উদ্ধারকার্য চালানোর পাশাপাশি সেই সকল মুহূর্তের ছবি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। মনে করা হচ্ছে উদ্ধারকার্য যত এগিয়ে যাবে ততই মৃত্যু সংখ্যা বাড়বে।
The earthquake in Turkey ?? is one of the deadliest this century but miracles continue to happen as heroic rescuers cut through the rubble in harsh weather conditions. #TurkeyEarthquake #gecmisolsunturkiye #TurkeySyriaEarthquake #TurkeyQuake #Turkey pic.twitter.com/guntfBQqHm
— Sajid_Abbasy (@abbasy_sajid) February 9, 2023
তবে এসবের মধ্যেও আশার আলো জোগাচ্ছে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া একের পর এক জীবিত শিশু। শিশুদেরকে নিষ্পাপ বলা হয়ে থাকে। বড় বড় দুর্ঘটনা থেকে ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে এই শিশুরা জীবিত অবস্থাতেই ফিরে এসেছে। আর এসব দেখে বারবার মনে পড়ে ‘রাখে হরি মারে কে’, এই প্রবাদ।
Pulling a two-month-old baby alive after three days under the rubble in Turkey.#TurkeySyriaEarthquake
pic.twitter.com/E2d0tC8X15— Nilofar Ayoubi (@NilofarAyoubi) February 8, 2023
তুরস্ক এবং সিরিয়ায় বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ঘটনায় যেভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এই দুই দেশের সীমান্ত এলাকার তাতে এই সকল জীবিত ফিরে আসা শিশুরাই যেন সেখানকার বাসিন্দা এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের আশার আলো যোগাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্ধার কার্যের যে সকল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সেই সকল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা পরিবার-পরিজনদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এই সকল মুহূর্ত স্থানীয়দের আশার আলো দেখানোর পাশাপাশি আশার আলো দেখাচ্ছে বিশ্বকেও।