আজকের এই ডিজিটাল যুগে প্রায় আট থেকে আশি সকলের হাতেই রয়েছে নামিদামি স্মার্টফোন। যার সাহায্যে অতি দ্রুত অর্থ লেনদেন করা হয়েছে সহজ। খুচরো পয়সার ঝুট ঝামেলা এড়াতে ছোট বড় প্রায় সকল ব্যবসায়ীর দোকানেই রয়েছে ইউপিআই এর সুবিধা। যার সাহায্যে মাত্র একবার কিউআর কোড স্ক্যান করেই দ্রুত অর্থ লেনদেন সম্ভব।
তবে এবার ডিজিটাল লেনদেনকে আরও উন্নত করে তুলতে কেন্দ্রের তরফে এক নতুন উদ্যোগ সামনে এসেছে যার ফলে প্রত্যেক মাপের ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন ইনসেনটিভ প্রকল্পের মাধ্যমে। এবার থেকে মাত্র ২০০০ টাকার ইউপিআই লেনদেন করলেই ব্যবসায়ীদের জন্য রয়েছে এক বিশেষ সুবিধা।
আরও পড়ুন: Money Plant Vastu : মানি প্ল্যান্ট কীসে রাখলে মিলবে আর্থিক সমৃদ্ধি? জানুন বাস্তুশাস্ত্রের কথা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৯ সে মার্চ বুধবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ভীম অ্যাপের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যের ইউপিআই লেনদেনের উপর এবার বিশেষ ইনসেনটিভ প্রদানের ভাবনা নেওয়া হচ্ছে। সরকারের তরফে একটি ঘোষণাতে বলা হয়েছে, যদি কোন ছোট ব্যবসায়ী পার্সন-টু-মার্চেন্ট লেনদেন করেন ইউপিআই এর মাধ্যমে তাহলে তিনি ২০০০ টাকার প্রতি লেনদেনে ০.১৫% পর্যন্ত নগদ ইনসেনটিভের সুবিধা পাবেন।
বেশ কিছু সূত্রের মতে, ব্যবসায়ীদের এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র সরকার একটি মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ করছে। যা প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। তবে এই প্রকল্পের সুবিধা কেবলমাত্র ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য রাখা হয়েছে। বড় ব্যবসায়ীরা এই সুবিধার আওতায় পড়বে না। কোনও অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই প্রতি তিন মাস অন্তর ব্যাংকগুলির মাধ্যমে এই ইনসেনটিভ প্রদান করা হবে ছোট ব্যবসায়ীদের। মূলত ছোট ব্যবসায়ীদের আরও উৎসাহিত করতে এই প্রকল্প ঘোষণা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কারা এই সুবিধার আওতায় পড়বেন জানেন ?
কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া প্রকল্পটি মূলত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের ছোট ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে যুক্ত মানুষ, ছোট পথচলতি ব্যবসায়ী এবং স্ট্রিট ভেন্ডরদের কথা মাথায় রেখে ডিজিটাল লেনদেনে বাড়তি উৎসাহ জোগাতে এই প্রকল্পের সুবিধা এনেছে মোদি সরকার। চায়ের দোকান, মুদি দোকান, ছোট স্টেশনারি দোকান, ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।
এই প্রকল্প ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন “স্বল্পমূল্যের ইউপিআই লেনদেনের প্রচারের জন্য ইনসেনটিভ প্রকল্পটি মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এতে ডিজিটাল পেমেন্টে আরও উৎসাহ বাড়বে। তার পাশাপাশি, এটি জীবনযাত্রার মানকে আরও সহজ করে তুলবে।”