Injections: বন্ধ হবে ইনজেকশনের ব্যবহার, শোরগোল চিকিৎসা বিজ্ঞানে

Injections: বন্ধ হবে ইনজেকশনের ব্যবহার, শোরগোল চিকিৎসা বিজ্ঞানে। বিভিন্ন রকম রোগ সারানোর জন্য একাধিক ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ইনজেকশনের প্রচলনও। কিন্তু ইনজেকশন নেওয়াটা একটু সমস্যা জনক। ইনজেকশনের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে ইনজেকশন নিতে গেলে বেশ ব্যথা লাগে। তাই অনেকেই ইনজেকশন নিতে ভয় পায়। আর চিন্তা নেই এবার চলে এলো ইঞ্জেকশনের সাবস্টিটিউট। চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার নিয়ে চলছে হৈচৈ।চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত হতে চলেছে নতুন এক ধরনের ক্যাপসুল যা ব্যবহার করা যেতে পারে ইনজেকশনের (Injections) পরিবর্তে। ভাবছেন তো ক্যাপসুল আর নতুন কি বিষয়? এ তো বহুদিন ধরেই ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু না এই ক্যাপসুলটি অন্যান্য ক্যাপসুলের মত নয়। এই ক্যাপসুলটি শরীরে যাওয়ার সাথে সাথে ফেটে গিয়ে ওষুধ ছড়াবে না। এটি দেহের পাচন রসের সাথে মিশলে তবেই ওষুধ ছাড়ানো শুরু করবে। যারা প্রতিদিন ইনসুলিন ব্যবহার করেন বা অন্য কোন ধরনের ইনজেকশন নিতে হয়, তাদের জন্য এই ক্যাপসুলটি উপযোগী হতে পারে। প্রতিদিন দেহে সুচ ফুটানোর চেয়ে একটি করে ক্যাপসুল নেওয়া বোধ হয় অনেক সোজা হবে।চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই যুগান্তকারী সৃষ্টি নিয়ে শুরু হয়েছে হইচই। এমনিতে ইনজেকশন (Injections) ব্যবহার করা বেশ সুবিধা জনক। শরীরে ওষুধ প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায় ইনজেকশনের ব্যবহারে। কিন্তু কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ইনজেকশন থেকে কিছু ক্ষেত্রে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া অনেকেই ইনজেকশনে ভয় পান। সুচ ফোটাতে রাজি হন না। সে ক্ষেত্রে যাদের নিত্য দিন ইনজেকশন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তাদের জন্য বিষয়টা খুবই সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। সেসব ক্ষেত্রে এই ক্যাপসুলটি কার্যকরী হতে পারে।
আরো পড়ুন: ব্যবহার করতে হবে না আর মোবাইল, কিসের সন্ধান দিলেন মার্ক জুকারবার্গ?
চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই যুগান্তকারী সৃষ্টি নিয়ে চিকিৎসকরাও তাই একই রকমের মতামত দিয়েছেন। তারাও জানিয়েছেন ইঞ্জেকশন (Injections) ব্যবহারের অসুবিধাগুলোকে এড়াতে চাইলে ক্যাপসুল তার বিকল্প হিসেবে বেশ ভালো। ইনজেকশনের একাধিক সাইড এফেক্ট রয়েছে। যেমন পেশিতে ব্যথা, জ্বর আসার সম্ভাবনা ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে এড়ানো সম্ভব ক্যাপসুলের ব্যবহারে। কিন্তু ক্যাপসুল ব্যবহারের পরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সমানভাবে কার্যকরী করতে পারবে কিনা এই নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকে যায়।চিকিৎসকদের মতে ইনজেকশনের (Injections) মতন ক্যাপসুলের মাধ্যমেও ১০০ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা সম্ভব, এমনটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে যতটা সম্ভব বেশি পরিমাণে ওষুধ ক্যাপসুলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। তাই ইনজেকশনের পরিবর্তে ক্যাপসুল জাতীয় কোন ওষুধ নিয়ে আসা গেলে বিষয়টা মন্দ হবে না। তবে এই গবেষণা কিন্তু এখনো পর্যন্ত তেমন ভাবে কার্যকরী হয়ে ওঠেনি। এখনো পর্যন্ত একাধিক ট্রায়ালের প্রয়োজন রয়েছে। সমস্ত ট্রায়াল শেষ হবার পর যদি তা কার্যকরী বলে বিবেচিত হয়, তবেই তা সাধারণ মানুষের উপর প্রয়োগ করা সম্ভব। বা চিকিৎসা বিজ্ঞানে পাকাপোক্ত ভাবে যুক্ত করা সম্ভব।