দাম বেড়েছে সবকিছুর, কিন্তু ১ টাকাতেই চা বিক্রি করে নজির ঊষারানীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : সবাই তো জানেন দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দেখতে দেখতে অনেক বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই সকল জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে দাম বেড়েছে চা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম তৈরি করা খাবারের। বাজারে এখন ৫ থেকে ৬ টাকা কাপের কমে চা পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে এসবের মাঝেই ব্যতিক্রমী কল্যাণীর ঊষারাণী জয়ধর।

তিনি পেশায় একজন চা বিক্রেতা। তবে পেশাল চা বিক্রেতা হলেও নিজেকে এইভাবে ব্যতিক্রমী করে তুলেছেন একমাত্র মাত্র ১ টাকায় এক কাপ চা বিক্রি করে। যেখানে অন্যান্য জায়গায় পাচঁ টাকার কমে এক কাপ চা পাওয়া যায় না, সেই জায়গায় এই ঊষারানী দেবী গত ২১ বছর ধরে এই ভাবেই এক কাপ চা বিক্রি করছেন। এই কারণেই তিনি হয়ে উঠেছেন ব্যতিক্রমী।

ঊষারাণী এই দোকান খুঁজে পাওয়া যাবে কল্যাণীর বিদ্যাসাগর মোড়ে। সেখানে রয়েছে তার একটি ছোট্ট দোকান। ওই দোকানে লিকার হোক অথবা দুধ চা, এক কাপের জন্য দিতে হয় মাত্র এক টাকা। তবে আগে তার দোকানের এই চা আরও সস্তা ছিল। রাজ্যে বহুল প্রচলিত একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ২০০০ সালে মাত্র ৪০ পয়সায় এক কাপ চা তিনি বিক্রি করতেন।

২০০০ সালে তিনি তার ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং তারপর থেকে সস্তায় চা বিক্রি করার জন্য তিনি খ্যাতি লাভ করেন। তবে সম্প্রতি চা, দুধ, জ্বালানির দাম কয়েকগুণ দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তিনি দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে দাম বেড়েছে ২১ বছরে মাত্র ৬০ পয়সা।

মাত্র ১ টাকায় এক কাপ চা বিক্রি করার কারণে তার দোকানে প্রতিদিন সকাল থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ঊষারাণী জানিয়েছেন, প্রথমবার যারা তার চায়ের দোকানে আসেন তারা দাম শুনে চমকে যান। বারবার জিজ্ঞেস করেন। তবে এই ভাবেই ঊষারানী দেবী প্রতিদিন ৫০০ কাপের বেশি চা বিক্রি করে থাকেন।

কিন্তু এইভাবে মাত্র এক টাকায় এক কাপ চা বিক্রি করে কিভাবে পোষান ঊষারানী দেবী। এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, “এই ভাবেই দু’বেলা চা বিক্রি করে তার পুষিয়ে যায়। অন্য দোকানদাররা এবং খরিদ্দাররা মাঝে মাঝে দাম বাড়ানোর কথা বলেন। তবে আমার সমস্যা হয় না তাই আমি দাম বাড়াই নি।”