Visva Bharati Basanta Utsav: সব আশায় জল ঢেলে হয়ে গেল বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব! এবার সোনাঝুড়িতেও বন্ধ

চলতি বছর বহু পর্যটক আশা করেছিলেন, দোলের দিন শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবে উপস্থিত হবেন এবং দিনভর আনন্দে কাটাবেন। এমনটা আশা করার পিছনে ছিল এই বছরের পৌষ মেলা। কেননা বেশ কয়েক বছর পর চলতি বছর বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট পৌষ মেলা করেছে। সেই হিসাবেই পর্যটকরা আশা করেছিলেন এবার হয়তো আগের মতোই দলের দিন বসন্ত উৎসব করবে বিশ্বভারতী এবং সেখানে অবাধ প্রবেশ থাকবে। শুধু পর্যটকরা নয়, পাশাপাশি এমনটা আশা করে বোলপুরের হোটেল সহ অন্যান্য থাকার জায়গার ভাড়াও তরতরিয়ে বাড়তে দেখা যায়। কিন্তু এবার এইসব সমস্ত কিছু ভেস্তে গেল বিশ্বভারতী এবং বনদপ্তরের সিদ্ধান্তে।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের পর থেকে আর দোলের দিন বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব পালন না করে একেবারে ঘরোয়াভাবে বসন্ত উৎসব পালন শুরু করে। এবারও একইভাবে মঙ্গলবার বিশ্বভারতীতে হয়ে গেল এবারের বসন্ত উৎসব। যেখানে অধ্যাপক অধ্যাপিকা, পড়ুয়ারা এবং প্রাক্তনীরা ছাড়া সাধারণদের প্রবেশে ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে রীতি মেনেই সেদিন বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব পালিত হয়।

আরও পড়ুন: Holi 2025: রঙিন মনে সাদা রঙের পোশাক! হোলিতে সাদা রঙ কেন পরা হয় জানেন?

অন্যদিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসবে সাধারণ মানুষদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর সোনাঝুরিতে স্থানীয়ভাবে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়ে এসেছে গত বছর পর্যন্ত। যেখানে পলুপোকার মতো মানুষদের ভিড় জমাতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এই বছর সেখানে বনদপ্তর রং খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সুতরাং পর্যটকদের সোনাঝুরিতে আবির খেলার যে প্ল্যান ছিল তাও আর হবে না।

বিশ্বভারতীতে মঙ্গলবার বসন্ত উৎসব পালনের সময় উপাসনা গৃহের সামনে থেকে ‘খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল’ গানের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রা করা হয়। শোভাযাত্রার প্রথমেই দেখা যায় বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য থেকে শুরু করে অন্যান্য আধিকারিকদের। শান্তিনিকেতন আশ্রম চত্বর প্রদক্ষিণ করার পর গৌড় প্রাঙ্গনে এ দিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন গীতিনাট্য উপস্থাপন করা হয়। তবে এই বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব পালনের সময় রং খেলার কোন অনুমতি ছিল না।

বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে প্রাক্তনীরা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান চত্বরে রং খেলার অনুমতি নেই। তবে তারা বাইরে গিয়ে আজ একটু রং খেলবেন। তারা প্রত্যেকেই এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। তবে বাইরে থেকে আসা মানুষদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে কিছুটা হলেও তাদের মন খারাপ। যদিও তারা যেটুকু পাচ্ছেন তাতে খুশি বলেও জানিয়েছেন।