পাঁচ হাতির বিশ্বকর্মা, তুলির বদলে স্প্রে, তৎপরতা বীরভূমের কুমারটুলিতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাত পোহালেই দেব শিল্পী বিশ্বকর্মা পুজো। তিনি নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ও আদির দেবতা। অষ্টবসুর অন্যতম প্রভাস ও বৃহস্পতির ভগিনী বরবর্ণিনীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তিনি তৈরি করেছেন কুবেরের অলকাপুরী, রাবনের স্বর্ণলঙ্কা, শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকাপুরী।

দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার পুজো আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার। দিকে দিকে যেমন দেবশিল্পীর এই পূজাকে ঘিরে উন্মাদনা, ঠিক তেমনই তৎপরতা প্রতিমা শিল্পীদের মধ্যেও। কারণ হাতে আর সময় নেই, আজকের মধ্যেই প্রতিমার কাজ সম্পন্ন করে পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে তুলে দিতে হবে সেই প্রতিমা। তবে প্রতিমা গড়ার কাজে এবার বেশ কিছুটা অভিনবত্ব লক্ষ্য করা গেল বীরভূমের কুমারটুলি অর্থাৎ মহঃবাজার থানার অন্তর্গত রঘুনাথপুরের গদাধর সূত্রধরের বাড়িতে।

দেবশিল্পীকে সাজিয়ে তুলতে কেউ এখানে রং করতে ব্যস্ত, কেউ আবার মাটির কাজ, কেউ আবার টানছেন শেষ তুলির টান। এবারের অভিনবত্ব বলতে দেখা গেল রঙের ক্ষেত্রে এসেছে অনেক বৈচিত্র্য তুলির রঙের জায়গা দখল করেছে স্প্রে রং, গ্রাহকদের চাহিদা মতো প্রতিমার মডেল এসেছে নানান পরিবর্তন। তবে সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৫ হাতির উপর বিশ্বকর্মা, যা এবারের চমক বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তা থেকে শিল্পীদের।

রঘুনাথপুরের গদাধর সূত্রধরের বাড়িয়ে বীরভূমের কুমারটুলি বলা হয়ে থাকে এ কারণেই, এখানে জেলার অন্যান্য স্থানের তুলনায় সবথেকে বেশি প্রতিমা তৈরি করা হয় এবং প্রতিমার গঠনে রয়েছে নানান বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্যে ভরা। এবছর তারা পঞ্চাশটি বিশ্বকর্মা প্রতিমা গঠনের পাশাপাশি ৬৫ টি দুর্গা প্রতিমা বানাচ্ছেন। তবে অন্যান্য বছর বিশ্বকর্মার প্রতিমা তুলনামূলক অনেক বেশি গড়ে থাকেন তারা, কিন্তু এবছর শিল্পীদের অভাব এবং দুর্গা প্রতিমার বেশি চাহিদা থাকার কারণে কমসংখ্যক বিশ্বকর্মা প্রতিমা হাত দিয়েছেন।