বীরভূম মানেই কিন্তু বোমা-বারুদ, রাজনৈতিক ক্যাচক্যাচানি নয়! বীরভূম মানে এরাও, যাদের নিয়ে গর্ব হয়

লাল্টু মুখার্জী: বীরভূম মানেই আর যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত স্থান, তা এখন যেন দিন দিন ভুলতে বসেছেন রাজ্য তথা দেশের মানুষেরা। কেননা এখন বীরভূম মানেই অধিকাংশ মানুষের মুখে শোনা যায় বোমা বারুদের গল্প, শোনা যায় কেষ্ট কাজলের দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে তৃণমূল বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ক্যাচকেচানি। তবে এসবের বাইরেও কিন্তু বীরভূম আগের মতই রয়েছে স্বমহিমায়। আর সেটাই প্রমাণ করতে দেখা যাচ্ছে বীরভূমের যুবসমাজকে।

সম্প্রতি বীরভূমের নাম গর্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে দুই যুবক। যাদের মধ্যে একজন হলেন সন্তু লাহা এবং আরেকজন ধ্রুবজ্যোতি পাঁজা। এছাড়াও দেবনাথ মন্ডল নামে এক যুবক এখন বীরভূমের নাম উজ্জ্বল করেছে।

বীরভূমের সবচেয়ে চর্চিত ব্লক খয়রাশোলের কেন্দ্রগড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসগড়া গ্রামের সন্তু লাহা ডব্লুউবিসিএস গ্রূপ এ রেভিনু সার্ভিসের পরীক্ষায় ৩৩ নম্বর র‍্যাঙ্ক করেছে। বীরভূমের মতো জায়গা থেকে পড়াশোনা করে এইভাবে র‍্যাঙ্ক করে সে জেলার নাম আজ সকলের সামনে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে।

অন্যদিকে ধ্রুবজ্যোতি পাঁজার পড়াশুনো বীরভূম থেকে শুরু। সে খয়রাশোল ব্লকেরই পলাশবুনি গ্রামের ভূমিপুত্র। পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছোটবেলায় বীরভূমে পড়াশুনা শুরু করার পর পরবর্তীতে দুর্গাপুর এবং কলকাতায় তার পড়াশোনা। ধ্রুবজ্যোতি জেইই অ্যাডভান্স পরীক্ষায় (২০২৫) রাজ্যে তৃতীয় এবং দেশে ৩৪ নম্বর স্থান অধিকার করেছে। তার যা ফলাফল তাতে চেয়ে কলকাতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

ধ্রুবজ্যোতি বাজার বাবা স্বপন কুমার পাঁজা জানিয়েছেন, তার ছেলে এখন আইআইটি বোম্বেতে পড়াশুনা করবে। এমন ফলাফল করার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি তার পরিবার। আর আইআইটি বোম্বের মতো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া তাদের পাশাপাশি জেলার বাসিন্দাদের জন্যও গর্বের। কেননা সেখানে সুযোগ পেতে গেলে সর্বভারতীয় স্তরে ৬০-এর মধ্যে র‍্যাঙ্ক থাকতে হয়।