রাজ্যে ফিরলো কঠোর লকডাউন, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোলেই ধরপাকড়

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউন ফিরতেই কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে পুলিশের। কলকাতা ছাড়াও জেলাগুলিতেও চলছে কড়া নজরদারি। জেলায় জেলায় সকাল থেকেই পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা নজরদারি শুরু করেছেন। এবারের এই লকডাউন আগের লকডাউনের থেকেও অনেক বেশি কঠোর। এর আগের লকডাউনের ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করেছি খোলা ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, বাজার ঘাট, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস ইত্যাদি। তবে এবার সংক্রমণ ঠেকাতে সেসকল জায়গাতেও লাগাম টানা হয়েছে।

রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই লকডাউনে কেবলমাত্র ওষুধের দোকান, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরিষেবা, বিদ্যুৎ, জল, থানা, আইন সংক্রান্ত কাজকর্ম, সাফাই কর্ম, সেবির নির্দেশানুসারে ক্যাপিটাল ও ডেট মার্কেট পরিষেবা, ই-কমার্স, কৃষি ক্ষেত্র, চা শিল্পের কাজকর্ম, পণ্য পরিবহণ এছাড়া সবই বন্ধ। আর এই লকডাউন কার্যকর থাকবে বৃহস্পতিবার রাত্রি ১০টা পর্যন্ত। পরবর্তী দুই লকডাউন রয়েছে আগামী শনিবার ও বুধবার। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশানুসারে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকেও লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ব্যাপক নজরদারি। বীরভূমের সিউড়ি, সাঁইথিয়া, বোলপুর, রামপুরহাট, দুবরাজপুর প্রতিটি জায়গায় কঠোরভাবে পুলিশি নজরদারি চালানো হচ্ছে। আর এদিনের এই লকডাউন চলাকালীন বিনা কারণে কেউ বাড়ি থেকে বের হলেই তাকে আটক করা হচ্ছে।

সকাল থেকেই লক্ষ্য করা গেছে সিউড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ব্যারিকেড বসাতে। পাশাপাশি বীরভূম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল এবং ডিএসপি ডিএনটি অভিষেক মন্ডলকে রাস্তায় নেমে নজরদারি চালাতে। ঠিক একইভাবে দুবরাজপুর শহরে লক্ষ্য করা গেছে পুলিশ ছাড়াও দুবরাজপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনিরুদ্ধ রায়কে রাস্তায় নেমে নজরদারি চালাতে। একইভাবে পুলিশ এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নজরদারি চালাচ্ছেন রামপুরহাট ও বোলপুর এলাকায়।

আর পুলিশের এই ব্যাপক নজরদারিতে বৃহস্পতিবার মূলত জেলা শুনশান। রাস্তাঘাটে হাতেগোনা একজন মানুষকে লক্ষ্য করা গেছে জরুরী কাজের ভিত্তিতে। বাকি দোকান পাট থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু বন্ধ। অন্যদিকে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে আলাদা করে ২৪ তারিখ থেকে ৩১শে জুলাই পর্যন্ত দুপুর তিনটে থেকে পরদিন সকাল ছয়টা পর্যন্ত লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে সপ্তাহে দুদিনের এই লকডাউন অথবা আংশিক জারি নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে দ্বিমত রয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ এই লকডাউনকে সমর্থন করলেও অন্য অংশ তা করছেন না।