বিষ্ণুপুরে রোপওয়ে, আরও একাধিক জায়গায়, গণপরিবহনে নতুন দিগন্ত দেখাচ্ছে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপরিবহনের মাধ্যম হিসেবে রেল পরিষেবা, বাস পরিষেবা সহ অন্যান্য যানবাহনের পরিষেবার প্রচলন রয়েছে রাজ্যে। এসবের পাশাপাশি এবার রোপওয়েকে গণপরিবহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগ যেন রাজ্য ও রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে নতুন দিগন্ত।

রাজ্য পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে বিষ্ণুপুরে চালু হবে এই রোপওয়ে। যদিও এই রোপওয়ে যে বিষ্ণুপুরে চালু হচ্ছে সেই বিষ্ণুপুর বাঁকুড়ায় নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। এখানে জনপদের উপর দিয়ে রোপওয়ে চলবে এবং তা গণপরিবহনের মাধ্যম হয়ে উঠবে বলে জানা যাচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র স্বামীনারায়ণ মন্দিরে রোপওয়ের মাধ্যমে পৌঁছে যাওয়া যাবে।

তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ছাড়াও আগামী দিনে কলকাতার বুকেও এমন রোপওয়ে পরিসেবা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। শহরের বুকে এমন রোপওয়ে পরিষেবা পশ্চিমবঙ্গে আর কোথাও নেই। রাজ্যে বেশ কিছু পার্কে এমন রোপওয়ে পরিষেবা থাকলেও তা জয় রাইড হিসাবেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এবার তা ব্যবহৃত হবে গণপরিবহনের মাধ্যম হিসেবে।

রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে এবার রোপওয়েকে জয় রাইড হিসাবে ব্যবহার করার পাশাপাশি গণপরিবহনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দক্ষিণ ২৪ পরগনার স্বামীনারায়ণ মন্দির থেকে ভাসা পর্যন্ত এমন রোপওয়ে চালু করার পরিকল্পনা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

রোপওয়ে পরিষেবা চালু করার জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়না এবং বায়ু দূষণের ঝুঁকি থাকে না। স্বামীনারায়ণ মন্দির থেকে ভাসা পর্যন্ত রোপওয়ে চালু হলে প্রতি কেবল কারে একসঙ্গে আট থেকে দশ জন যাতায়াত করতে পারবেন। যাত্রীদের স্টেশনে ওঠানো এবং নামানোর জন্য লিফটের ব্যবস্থা থাকবে। আপাতত দেড় কিলোমিটার রোপওয়ে চালু করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।