সৌমিত্র সুজাতার ডিভোর্স দোরগোড়ায়, খরপোষে যা যা দাবি করলেন সুজাতা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ মূলত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে বহুল জনপ্রিয়। সেই সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও আইনি জটিলতায় নিজের এলাকায় প্রবেশে বাধা পেতে হয় বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্রকে। তবে সৌমিত্রর হয়ে সুজাতা প্রচার করে শেষমেষ জয় হাসিল করেন। এই জয়ের জন্য অনেকেই সৌমিত্র স্ত্রী সুজাতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।

তবে দেখা যায় এরপরেই দুজনের সাংসারিক জীবনে দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। এমনকি পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সুজাতা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তখনই সৌমিত্র তাকে ডিভোর্স দেওয়ার ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। এরপর সম্প্রতি ডিভোর্স পেতে সুজাতাও আদালতের দ্বারস্থ হয় এবং এই মামলা অর্থাৎ মিউচুয়াল ডিভোর্সের জন্য সোমবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে শুনানি হয়।

প্রায় এক ঘন্টা দুজনের উপস্থিতিতে চলে শুনানি। শুনানি প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় বলে সৌমিত্র খাঁ কোন কিছু বলতে প্রস্তুত ছিলেন না, তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। অন্যদিকে সৌমিত্র খাঁয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। সোমবার তার শুনানি হয়েছে। আদালত দুপক্ষের কাছেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জানতে চেয়েছে। দু’পক্ষই ডিভোর্সের ব্যাপারে আদালতের কাছে তাঁদের সম্মতির কথা জানিয়েছেন’।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে সুজাতা মন্ডলের বিয়ে হয় ২০১৬ সালের ১ জুলাই। তবে তাদের বিয়ের পাঁচ বছর গড়াতে না গড়াতেই সম্পর্কে অবনতি দেখা যায়। তাদের সম্পর্কে এমন অবনতির কারণ হিসেবে অনেকেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন জড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তবে সত্যিই কি রাজনৈতিক টানা পড়েন নাকি অন্য কিছু তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

অন্যদিকে মিউচুয়াল ডিভোর্সের পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষ সম্মতি দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, ডিভোর্সের পরিপ্রেক্ষিতে সুজাতা মন্ডল খরপোষ হিসাবে কি কি দাবি করবেন সৌমিত্রর থেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুজাতা জানিয়েছেন, “এই ডিভোর্সের মামলায় তাঁর কোনও দাবি দাওয়া নেই। বিষয়টি বিচারাধীন। আদালত চাইলে দ্রুত এই মামলার নিস্পত্তি হবে।”