বর্তমান দিনে কুকুর বিড়ালের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেন দ্বিগুণ হয়েছে। তাদের মায়া ভরা দুটো চোখের জাদুতে হারিয়ে যায় মানুষের মন। তাই বাড়িতে শখ করে বিড়াল নিয়ে আসেন অনেকেই। পোষ্যদের সেবা শুশ্রুষার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসেন সমাজের একটা বড় অংশ। নানান জাতের বেড়াল পোষেন এখনকার দিনে সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি।
বিড়ালের সঙ্গে বাঘের যে পারিবারিক সম্পর্ক আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ বাঘের মাসি হওয়ার সুবাদে মাঝে মধ্যেই বেড়াল এমন চোখ করে এগিয়ে আসে যা দেখলে সত্যিই ভয় ধরে যায়। বিশেষত রাতে এদের চোখ দুটি জানান দেয় যে এরা আশেপাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এই বিড়াল না থাকলে বিপদও কিন্তু বাড়বে। কীভাবে? জেনে নিন
আরও পড়ুন: কোডাইন মিক্সচার সহ বীরভূমের গ্রেপ্তার ১
এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি প্রাণীর গুরুত্ব কিন্তু সমান রয়েছে। বলা চলে একটি প্রাণী অপর একটি প্রাণীর অস্তিত্বের ওপর নির্ভরশীল।প্রতিটি প্রাণীর জন্ম কোনো না কোনো উদ্দেশ্যে হয়েছে এ ধরিত্রীতে। এমনিতে বিড়াল খুব শান্ত, সাধারণ প্রাণী। সারাদিনই কিছু না কিছু খাবারের সন্ধানে নিজেদের খেয়ালে এরা মাঠে ঘাটে ঘোরাঘুরি করে। পৃথিবীর খাদ্যশৃঙ্খলকে ধরে রাখতে বিড়ালের বেঁচে থাকা খুব দরকার।
গৃহস্থের বাড়ির টুকিটাকি খাবার চুরি করে মাঝে মধ্যেই খেয়ে থাকে এরা। আবার বিড়ালের প্রিয় খাদ্য ইঁদুর এটির লোভে কিন্তু শিকার করে বিড়াল। রাত হলেই এদের আর দেখে কে? বেরিয়ে পড়ে ইঁদুর শিকার করতে। ইঁদুর মেরে খায় এরা।ঘর বাড়িতে ইঁদুরের উপদ্রবে নাজেহাল হয়ে যায় সাধারণ মানুষ, তাই ইঁদুরের সংখ্যা কমাতে বিড়ালের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিড়াল ইঁদুরের দলের ওপর হামলা না করলে ক্রমেই ইঁদুরের সংখ্যা বাড়বে মধ্যবিত্তের সাজানো ঘর বাড়িতে। তখন ইঁদুর খাবার থেকে অন্যান্য জিনিসের ওপর থাবা বসাবে। তাই ইঁদুর মেরে বিড়াল উপকারই করে মানুষের।
যে স্থানে বিড়াল থাকে না, সেখানে ইঁদুরের সংখ্যা আসতে আসতে চার গুণ বেড়ে যায়। অন্যদিকে ইঁদুরের আবার প্রিয় খাদ্য হল সামুদ্রিক পাখির ডিম। তাই বিড়াল না থাকলে ইঁদুরের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে অনেক পরিমাণে সামুদ্রিক পাখির ডিম নষ্ট হয়ে যাবে। যার ফল স্বরূপ বাস্তুতন্ত্রে বিপদ এর আশঙ্কা বাড়বে। তাই শান্ত সাধারণ বিড়ালের বাচ্চা দেখলেই তাদের দূরে ঠেলে না দিয়ে স্নেহ করার চেষ্টা করবেন।