English meaning of Bidi: বিড়িকে ইংরেজিতে কী বলে! সময়ে-অসময়ে সুখ টান দেওয়ার আগে বলে ফেলুন

What is the meaning of Bidi in English: সাম্প্রতিক সময়ে নেশা করা জল-ভাতের মত হয়ে গিয়েছে। ছেলে-মেয়ে উভয়ই সিগারেট, গুটকা, খৈনি প্রভৃতি নিকোটিনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ধূমপান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক জেনেও তারা সেই নেশা ছাড়তে পারছেন না। সময়-অসময়ে সুখ টান দিতে সিগারেট টানছেন। আবার কারো কাছে সিগারেট কেনার সামর্থ্য না থাকলে তার বদলে টান দিচ্ছেন বিড়ি। অনেকেই বিডি খান কিন্তু তাদের সাধারণ জ্ঞানে তারা জানে না বিড়ির ইংরেজি (English meaning of Bidi) নাম। আপনার কি জানা আছে? যদি জানেন তাহলে দেখে নিন তো আপনি ঠিক জানেন কিনা। আর যদি না জানেন তাহলে এই প্রতিবেদনে জেনে নিন বিড়ির ইংরেজি নাম।

শহরাঞ্চল-গ্রামাঞ্চল সহ সারা দেশজুড়ে নিকোটিনের চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমন ব্যবসাও বেড়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষরা নিকোটিন হিসেবে সিগারেটের বদলে বেশি বিড়িতে টান দেন। কারণ সিগারেটের তুলনায় বিড়ির দাম কম। শুধু খাওয়ার দিক দিয়ে নয়, ব্যবসার দিক থেকেও গ্রামাঞ্চলের বহু মহিলারা বিড়ি তৈরি করেন। তামাক পাতা বা অন্য কোনো পাতা দিয়ে বিড়ি বাঁধেন। যাতে কেউ ভালো অর্থ উপার্জন করেন। এই বিড়ি অনেকেই বাঁধেন, অনেকে টানেন কিন্তু বিড়িকে ইংরেজিতে (English meaning of Bidi) কী বলে তা তাদের কাছে অজানা। তাই বিড়ি তৈরি করা, টান দেওয়ার আগে জেনে রাখুন বিড়ির ইংরেজি নাম।

রিপোর্ট বলছে, বিড়ির প্রচলন সবচেয়ে বেশি ভারতের অন্যতম রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে। চাহিদার দিক থেকেও যেমন বেশি তেমন উৎপন্নের দিক থেকেও পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে রয়েছে। যা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। খবর বলছে ভারতবর্ষের প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ বিড়ি তৈরির সাথে যুক্ত। যা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন 👉 Kachori: সকালে দোকানে ছুটছেন কচুরির জন্য! কিন্তু এর ইংরেজি নাম কী?

সাধারণত বিড়িকে অনেকেই ইংরেজিতে হাতে বাধা সিগারেট বলে (English meaning of Bidi)। কিন্তু সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী ভারতবর্ষে বিড়িকে ইংরেজিতে বিড়ি-ই বলে। যদি লেখার কথা বলি সেক্ষেত্রে ভিন্ন রকমের। যেমন BIDI, BIRI এবং BEEDI। তবে বিড়ির ইংরেজি নাম তো জেনে গেলেন। কিন্তু এই বিড়ি কবে থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে এবং কবে থেকেই বা ব্যবসাঘ পরিণত হয়েছে তা জানা আছে কি?

জানা যায় ভারতবর্ষে বিড়ি আবিষ্কৃত হয় ১৭ শতকের পর থেকে। তারপর তা ধীরে ধীরে দেশে ব্যবসায়িক আকার ধারণ করে। ১৯৩০ সালে বিড়ি তৈরি ব্যবসায় পরিণত হয়। তারপর বিংশ শতাব্দীতে তা বিশাল আকার ধারণ করে।