বহু মানুষের বর্তমানে একের বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) রয়েছে। তাঁরা নিজেদের অগোচরেই গুনে চলেছেন বেশি টাকা। কিন্তু কী ভাবে খরচ বেড়ে যাচ্ছে তাদের, সে হিসেব অনেকেই রাখেন না। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দেখে নিন এই প্রতিবেদনটি।
অনেকেরই একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট (Bank Account) থাকে। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই অ্যাকাউন্ট খুলে রাখেন অনেকে। কিন্তু এক ব্যক্তির নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে কিছু সমস্যা হতে পারে। বিশেষত চাকরিজীবদের। এক জন ব্যক্তির একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকাটাই কাঙ্খিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা হয় না। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে কোনও ব্যক্তির অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। যা অপ্রয়োজনীয়। যেমন তাঁকে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে একাধিক অ্যাকাউন্টের জন্য। পাশাপাশি এসএমএস সার্ভিস, ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখার ঝামেলাও পোহাতে হবে। এমনকি আরবিআই-এর নিয়ম অনুসারে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা ভালো।
যদি একের বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) থাকে, তবে সেগুলি রক্ষণাবেক্ষন করা হয় সবচেয়ে কঠিন। প্রতিটি ব্যাঙ্কের নিজস্ব আলাদা মেইনটেনেন্স চার্জ থাকে, ডেবিট কার্ড চার্জ, এসএমএস চার্জ, ন্যূনতম ব্যালেন্স চার্জও রয়েছে। একজন গ্রাহকের যে কটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেই অ্যাকাউন্ট গুলির সমস্ত পরিষেবা চার্জ গ্রাহককেই দিতে হয়। এছাড়াও, ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় না থাকলে ব্যাঙ্কগুলি তার পরিবর্তে মোটা টাকা কেটে নিতে পারে।
একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকলে সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণও করতে হয় গ্রাহককে। যদি কোনও সেভিংস অ্যাকাউন্টে বা কোনও কারেন্ট অ্যাকাউন্টে গ্রাহকের একবছর লেনদেন না হয়, তবে সেই সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট Inactive Bank Account হয়ে যায়। যদি দু’বছর কোনও লেনদেন না করা হয়, তবে Dormant Account-এ পরিণত হয়। এই ধরণের অ্যাকাউন্টগুলিতেই সবচেয়ে বেশি জালিয়াতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে জানানো হয়েছে।
একজন আয়কর পরামর্শদাতা বলছেন, যদি একটি ব্যাঙ্কেই অ্যাকাউন্ট থাকে তবে রিটার্ন দাখিল করা অনেক সহজ হয়। কারণ সমস্ত লেনদেন সেখানে পাওয়া যায়। বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থাকলে এই ক্যালকুলেশন বের করা যথেষ্ট কঠিন হয়ে পড়ে।