অর্পিতার ৫০ কোটি টাকা হাতে এলে কি করবেন, আমজনতার অবাক করা জবাব

নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমেছে সিবিআই এবং ইডি। প্রথম কয়েক দফায় সিবিআই যেটা করার পর ইডি হাত ধুয়ে নামতেই একের পর এক রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। ইডির হানায় ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের হাতে। আবার অন্যদিকে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও ইডি হেফাজতে।

তবে এরা দু’জন ইডি হেফাজতে গেলেও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ, কয়েক লক্ষ টাকার সোনা, এছাড়াও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি, যেগুলি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস দিতে পারে।

এই ৫০ কোটি টাকা কোথায় থেকে এলো তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি, সম্পূর্ণ এই বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। তবে প্রশ্ন হল আপনি যদি এই ৫০ কোটি টাকা নগদ পান তাহলে কি করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে আমজনতার জবাব শুনলে হেসে গড়াগড়ি তো দেবেন-ই, সঙ্গে অবাকও হয়ে যাবেন।

এর উত্তরে এক শিক্ষক তথা সমাজসেবী স্বপন কুমার গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, ‘ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য এবং বৃদ্ধ ও মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতাম’। সুবীর সরকার নামে এক টোটো চালকও জানিয়েছেন, ‘আমি গরিব দুঃখীদের মধ্যে এই টাকা দান করে দিতাম।’

নগদ এই উদ্ধার হওয়া ৫০ কোটি টাকার পরিপ্রেক্ষিতে বহু মানুষ তাদের প্রতিক্রিয়ায় কেউ সমাজসেবা, কেউ গরিব-দুঃখীদের মধ্যে সেই টাকা বিলিয়ে দেওয়া ইত্যাদির কথা জানালেও এক সবজি বিক্রেতা রঞ্জনা দাস কখনো ভাবতেই পারেন না এইভাবে ৫০ কোটি টাকা পাওয়া যায়। তবে তিনি যদি এইরকম ভাবে টাকা পেয়ে থাকেন তাহলে ওইসব সমাজসেবা এসব তিনি করবেন না বলেই জানিয়েছেন। তার স্পষ্ট উত্তর, ‘আগে নিজের আখের গোছাবো বাকি পরে অন্যদের কথা’।

রঞ্জনা দাস স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “সমাজসেবা টমাজসেবা কেউ করে না। ওসব মুখের কথা। আমি এই টাকা পেলে আগে বাড়িঘর তৈরি করব, সবকিছু নিজের আখের গোছাবো। বাকি কথা পরে ভাবা যাবে। তবে এই রকম টাকা কোনদিন পাব বলে মনে হয় না।”