রবিবার যারা টেট পরীক্ষা দিলেন, তারা কবে পাবেন চাকরি, হিসাব চোখ কপালে তুলবে

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ পাঁচ বছর পর গত রবিবার টেট পরীক্ষা হয়। প্রাথমিকে চাকরির আশায় প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেন। তবে প্রশ্ন হল যারা টেট পরীক্ষা দিলেন এবং এই টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন তারা কবে চাকরি পাবেন? পর্ষদ ১১ হাজার ৭৬৫ শূন্য পদে চাকরি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পুরাতন মামলা যে সেই শূন্য পদ এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজারে।

পরীক্ষার পর পর্ষদের তরফ থেকে দ্রুত রেজাল্ট প্রকাশ করা এবং দ্রুত নিয়োগ করার আশ্বাস দেওয়া হলেও বিগত দিনের অভিজ্ঞতা এবং মামলা থেকে উঠছে নানান প্রশ্ন। এমনকি অনেকে বলছেন অদূর ভবিষ্যতে সবাই চাকরি পাবেন তা ভেবে নেওয়া দিবাস্বপ্ন। পর্ষদ কয়েক মাস আগে শেষবার নিয়োগ করে।

এই নিয়োগ হয় মূলত প্রশ্ন ভুল থাকার মামলায় ২৭০ জনের। তারা প্রায় আট বছর পর চাকরি পেয়েছেন। এ সকল পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছেন, নিয়োগই হবে না। হিসেব অনুযায়ী মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ সত্যিই মুশকিল।

কারণ পর্ষদ যে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন শুরু করেছে তা শেষ করতেই অনেক সময় লাগবে। ২০১৭ সালে অর্থাৎ এর আগে শেষবার যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তাতে পাস করে বসে আছেন ৯ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থী। এছাড়াও ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় পাশ করে রয়েছেন অনেকেই। হিসাব অনুযায়ী ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতের নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি ছাড়া সদ্য সমাপ্ত হওয়ার টেট পরীক্ষায় যারা পাস করবেন তাদের চাকরি অনিশ্চিত।

নিয়োগ নিয়ে রয়েছে একাধিক মামলা। যেমন বিএড প্রশিক্ষিতরা প্রাথমিকে চাকরির জন্য যোগ্য কি না, এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, আগেকার দিনে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করাদের সঙ্গে এখন কার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাসদের নম্বর বিভেদ কিভাবে দূর হবে?