নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দির (demonetisation) শিকার হয়েছিল পুরাতন ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট। এই ঘটনার সাত বছরের মধ্যে ফের একবার দেশ থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার ঘোষণা করা হলো। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই ঘোষণার পর থেকেই সরগরম গোটা দেশ। এইভাবে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কারণ খুঁজতে ব্যস্ত নাগরিকদের একাংশ। অবশেষে সেই কারণ জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)।
সোমবার ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, “স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কারেন্সি অপারেশনের একটি অংশ। দীর্ঘদিন থেকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি ক্লিন নোট পলিসি মেনে আসছে। আরবিআই একটি নির্দিষ্ট সিরিজের নোট প্রত্যাহার করে এবং নতুন নোট জারিও করে। আমরা সার্কুলেশন থেকে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করছি কিন্তু সেগুলির লিগাল টেন্ডার রয়েছে।”
এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ২০০০ টাকার নোট চালু করার ক্ষেত্রে যে উদ্দেশ্য ছিল সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি ২০০০ টাকার নোটের সর্বোচ্চ সংখ্যা ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি থেকে নেমে এসেছে ৩ লক্ষ ২ হাজার কোটিতে। এছাড়াও ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে যে সকল নোট বাজার রয়েছে তাদের লাইফ সার্কেল প্রায় শেষ।
আরও পড়ুন : ২০০০ টাকার নোট পরিবর্তন করতে কী লাগবে পরিচয়পত্র! জেনে নিন জরুরী ঘোষণা
এর সঙ্গে সঙ্গে শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কোন দোকানদার ২০০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করতে পারবেন না। ২০০০ টাকার নোট বদল করার জন্য তাড়াহুড়ো করার কোন প্রয়োজন নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট পরিবর্তন করার সময় রয়েছে। এক্ষেত্রে নাগরিকরা হাতে এখনো চার মাস সময় পাবেন।
#WATCH | #Rs2000CurrencyNote | RBI Governor Shaktikanta Das says, "Let me clarify and re-emphasise that it is a part of the currency management operations of the Reserve Bank…For a long time, the Reserve Bank has been following a clean note policy. From time to time, RBI… pic.twitter.com/Rkae1jG0rU
— ANI (@ANI) May 22, 2023
২০০০ টাকার নোট চালু করা এবং বাতিল করা এই দুইয়ের কারণ হিসাবে গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, ২০১৬ সালে নোটবন্দি হওয়ার পর বাজারে ঘাটতি মেটাতে ২০০০ টাকার নোট চালু করা হয়েছিল। এরপর সেই নোট ছাপানোর কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন বাজারে অন্যান্য সব নোট পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। ফলে ২০০০ টাকার নোটের প্রয়োজন নেই এবং এই নোট প্রচলনের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।