Sorry Robert কেন লিখছেন সবাই! কেন ট্রেন্ডে এই পুতুল! কারণ জানতে যেতে হবে ১৯০৬ সালে

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি পুতুল। যে পুতুলটির নাম রবার্ট (Robert)। অনেকেই এই পুতুলের ছবি শেয়ার করে লিখছেন ‘Sorry Robert’। চেয়ারে বসা অদ্ভুত দেখতে এই পুতুলটির ছবি শেয়ার করার জন্য রীতিমতো লাইন পড়ে গিয়েছে। অনেকে জেনে বুঝে শেয়ার করছেন, আবার অনেকে না জেনেই শেয়ার করছেন। প্রশ্ন হল এই পুতুলের কি কোন অস্তিত্ব রয়েছে? কেনই বা এই পুতুলের ছবি সবাই শেয়ার করে লিখছেন ‘Sorry Robert’। নিশ্চয়ই কিছুতো কারণ রয়েছে। আর সেই কারণ জানতে হলে যেতে হবে ১৯০৬ সালে।

Advertisements

Robert-Most Haunted Doll in the world নাম দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই পুতুলের অস্তিত্ব থাকা না থাকা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, তখন জানা গিয়েছে, সত্যি সত্যিই এই পুতুলের অস্তিত্ব রয়েছে। এর পাশাপাশি এই পুতুলকে ঘিরে নানান অলৌকিক ঘটনা প্রচলিত রয়েছে। এই পুতুলকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পুতুল বলা হয়। জানা যায়, রবার্ট ইউজিন অট্টো ১৯০০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার ষষ্ঠ জন্মবার্ষিকী অর্থাৎ ১৯০৬ সালে ভাইরাল হওয়া এই পুতুল তাকে উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন তাদের বাড়ির পরিচারিকা।

Advertisements

তবে এই পুতুল উপহার দেওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই ওই পরিচারিকাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ব্ল্যাক ম্যাজিক করার অভিযোগে। এছাড়াও অভিযোগ ছিল, ওই পরিচারিকা বিভিন্ন ব্ল্যাক ম্যাজিক রবার্টের উপর প্রয়োগ করতেন। পরে জানা যায়, ওই পরিচারিকা যেমন তেমন মহিলা ছিলেন না। তিনি ছিলেন বাহামা দ্বীপের একজন রহস্যময়ী নারী। এছাড়াও রবার্টকে তিনি যে পুতুল উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন সেটিও যেমন তেমন পুতুল ছিল না। রবার্টকে দেওয়া ওই পুতুল দেখতে অবিকল রবার্টের মতই ছিল এবং ওই পুতুল রবার্টের কাছে নিজের প্রাণের থেকেও বেশি প্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমনকি রবার্ট কোন সময় ওই পুতুল হাতছাড়া করতেন না। রবার্ট নিজেই ওই পুতুলের নাম দিয়েছিলেন ‘রবার্ট দ্য ডল’ (Robert the Doll)।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Vastu Tips For Money: রাস্তায় টাকা কুড়িয়ে পাওয়া শুভ না অশুভ! জেনে নিন অজানা তথ্য

এরপরে ওই পুতুল নিয়ে নানান ধরনের ঘটনা শোনা যায়। রবার্টের বাবা মা দাবি করতেন, রবার্টের বিশ্বাস ছিল ওই পুতুলের সঙ্গে সে কথা বললে তাকে সে উত্তর দেবে। এমনকি পরবর্তীতে কখনো ওই পুতুলকে চোখ পিটপিট করতে, অট্টহাসি হাসতেও শোনা যেত বলে দাবি করতেন রবার্টের বাবা-মা। পরে রবার্টের বাবা মা মারা গেলে উত্তরাধিকার সূত্রে রবার্ট বসবাস শুরু করেন আমেরিকার ফ্লোরিডার পশ্চিম প্রান্তের একটি দ্বীপে। পেশায় চিত্রশিল্পী, লেখক রবার্ট যে বাড়িতে থাকতেন তার নাম তিনি দিয়েছিলেন আর্টিস্ট হাউস। সেখানেও ওই পুতুল তার সঙ্গে থাকতো।

এর পাশাপাশি স্থানীয়দের দাবি থেকে জানা যায়, বিবাহিত জীবনেও রবার্ট কোনদিন তার ওই পুতুল হাতছাড়া করেননি। এমনকি তাদের ওই পুতুল নিয়ে হামেশাই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো। পরে ১৯৭৪ সালে রবার্ট মারা গেলে তার স্ত্রী তড়িঘড়ি ওই পুতুলটি মিউজিয়ামে দেখে আসেন এবং ওই আর্টিস্ট হাউস বিক্রি করে অন্যত্র চলে যান। তবে দাবি করা হয় এরপরেও কিন্তু ওই পুতুলের মহিমা শেষ হয়নি। যে মিউজিয়ামে ওই পুতুল রাখা ছিল সেই মিউজিয়ামের স্টাফদের তরফ থেকে দাবি, মিউজিয়াম বন্ধ করার সময় যেখানে ওই পুতুল রাখা হতো, সকালবেলায় এসে সেখানে পুতুলটি দেখতে পাওয়া যেত না। এমনকি পরবর্তীতে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে ওই পুতুল নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছিল বলেও শোনা যায়। এমনকি এটাও রটে ছিল যে, মিউজিয়ামে যারা আসতেন তাদের যারা ওই পুতুল নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেন তাদের জীবনে কখনো না কখনো খারাপ কিছু ঘটেছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি আচমকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পুতুলের ছবি ভাইরাল হয়েছে এবং দাবি করা হচ্ছে, এই পুতুল দেখে ক্ষমা না চাইলে জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে। এই বিশ্বাস থেকেই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে #SorryRobert।

Advertisements