নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রশাসনের তরফ থেকে দীঘায় (Digha) আসা পর্যটকদের সামনে নতুন নতুন পরিষেবা তুলে ধরার প্রচেষ্টা বারংবার চালানো হয়। সেই সকল প্রচেষ্টার মধ্যে তাইল্যান্ডের চাও ফ্রায়া নদীর মতো দিঘাতেও প্রমোদতরী (Digha Cruise Service) চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এমভি নিবেদিতা নামে একটি প্রমোদতরীও তৈরি। কিন্তু এই পরিষেবা এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। কেন পরিষেবা চালু করা সম্ভব হলো না?
দীঘার পর্যটকদের আলাদা আনন্দ দেওয়ার জন্য দীঘা ও শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে কয়েক বছর ধরেই এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রমোদতরী তৈরি হয়ে যাওয়ার পর বারবার এই পরিষেবা চালু হওয়া নিয়ে জল্পনাও লক্ষ্য করা গিয়েছে। কখনো গত বছর দুর্গা পুজোর সময় পরিসেবা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল, কখনো আবার বড়দিন এবং নতুন বছরের শুরুতেই পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছিল।
এমনকি পরিষেবা চালু করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে ট্রায়ালও হয়েছে। তবে ট্রায়াল পর্যন্তই এই পরিষেবা থেমে রয়েছে। এরপরে আর পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়নি। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন, দীঘায় ঘুরতে গিয়ে প্রমোদতরীতে চড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে তো নাকি সেই স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে! এইসব জল্পনার মধ্যেই অবশেষে জানা গেল ঠিক কি কারণে এখনও পর্যন্ত পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়নি।
যা জানা যাচ্ছে তাতে এই পরিষেবা এখন বিশ বাঁও জলে থাকার মূল কারণ হলো জেটি। দীঘায় এই প্রমোদতরী পরিষেবার জন্য ইতিমধ্যেই ন্যায়কালী মন্দির সংলগ্ন জেটি থেকে নদীপথে শংকরপুর বন্দর এবং নদী মোহনা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ জলপথে ট্রায়াল হয়েছে। কিন্তু যে জায়গা থেকে এই প্রমোদতরীর ট্রায়াল চালানো হয় অর্থাৎ ন্যায়কালী মন্দির থেকে জেটি পর্যন্ত রাস্তার অনেকটাই চলাচলের যোগ্য নয়।
এর পাশাপাশি বাঁধ থেকে জেটি পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাও ঠিক নেই। অন্যদিকে লোহার জেটির বিভিন্ন অংশে ইতিমধ্যেই মরচে পড়ে গিয়েছে। বিপদজনক এমন বিভিন্ন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আপাতত প্রমোদতরী পরিষেবা চালু স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তনবীর আফজল জানিয়েছেন, নতুন করে যেটি সনাক্তকরণের কাজ চলছে এবং শনাক্তকরণের পরই প্রমোদতরী পরিষেবা চালু হবে।