পাহাড়ে ধসের ঘটনা কিছু নতুন নয়। বিশেষ করে সিকিমের রাস্তায় ধসের ঘটনা বেশ কিছু বছর ধরে জলভাত হয়ে গিয়েছে।বর্ষায় অধিকাংশ সময়েই ধস নামে সেবক হয়ে সিকিম যাওয়ার রাস্তাতে। যার ফল স্বরূপ সিকিমের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আর এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই সমস্যাকে বিদায় জানাতে বিকল্প সড়ককে আরও প্রশস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার জন্য মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
মোট ৭৭০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রশস্ত করা হবে বিকল্প সড়কটিকে। ইতিমধ্যেই এই মোটা অংকের টাকার বরাদ্দে অনুমোদন মিলেছে বলে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকরীর তরফে। সেবক হয়ে সিকিমের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামলে গরুবাথান, রিশপ দিয়ে গিয়ে ৭১৭এ জাতীয় সড়ক বিকল্প পথে সিকিমে যাতায়াত করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: Amit Shah: এই কাজটি করতে পারলে গ্রামে গ্রামে মিলবে ১ কোটি টাকা! কী কাজের কথা বললেন অমিত শাহ?
এখনো পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ওই বিকল্প সড়কের বেশ খানিকটা অংশকে প্রশস্ত করে দুই লেন-বিশিষ্ট করার। কেন্দ্রের তরফে ওই মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এই জাতীয় সড়কের ২৩ কিমির অধিক রাস্তা চওড়া করার জন্য। ১৮.৪২ কিমি বিশিষ্ট লাভা মোড় থেকে পেডং বাইপাস পর্যন্ত রাস্তা এবং ৫.২ কিমি বিশিষ্ট রেশি থেকে রেনক পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোশাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষার মরসুমে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচলের সমস্যা দেখা দিলে এই বিকল্প পথটি ব্যবহার করে যাতায়াত করা হবে। যদিও শুধু বর্ষার মরসুমই নয়, এই বিকল্প সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করা যাবে বছরের যে কোনও সময়ে।
এই রাস্তাটি চওড়া হলে সেই এলাকার পর্যটক এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি মাসের তিন তারিখে সংসদে নিতিনের ঘরে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিকিমের সাংসদ ইন্দ্রহাং সুব্বা। ওইদিন দুই নেতার মধ্যে ওই বৈঠকে সিকিমের সঙ্গে সমতলের সড়ক যোগাযোগের উন্নতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।