বিশ্বের সবচেয়ে বড় কলা, যেমন মোটা তেমন ওজন, খেতে হিমশিম খেতে হয়

পাপুয়া নিউ গিনি (Papua New Guinea) দ্বীপেরই আকাশ ছুঁয়ে থাকে বিশ্বের বৃহত্তম কলাগাছ (The Largest Banana Tree of the World) প্রজাতি মুসা ইনজেনস (Musa Ingens)। এই প্রজাতির কলা মানুষ প্রথম খুঁজে পেয়েছিল পশ্চিম পাপুয়ার আফ্রাক পাহাড়ে। আজ থেকে প্রায় দশ হাজার বছর আগে। যদিও প্রত্নতাত্ত্বিক ও উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে মুসা ইনজেনস প্রজাতির (Musa Ingens) কলা এই দ্বীপে আছে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই। আর গাছের মতোই এই কলা গুলি আকারে বৃহৎ। যার একটি খেলেই ভরে যাবে আপনার পেট।

বাঙালির কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফল সম্ভবত কলা। তাই তো পুজোর থালা থেকে খাওয়ার থালা, এমনকি বাঙালির মনের ভাব প্রকাশেও জায়গা করে নিয়েছে কলা ও কলা গাছ। তাই হয়ত বাংলা ভাষায় ছড়িয়ে আছে ‘আঙুল ফুলে কলা গাছ’,’কলা দেখানো’, ‘আদায় কাঁচকলায়’ সহ কত কলা সম্পর্কিত বাগধারা। খোদ রবীন্দ্রনাথই লিখে ফেলেছিলেন কলার মহিমা, ” আমসত্ত্ব দুধে ফেলি, তাহাতে কদলী দলি, হাপুস হুপুস শব্দ, চারিদিক নিস্তব্ধ, পিঁপিড়া কাঁদিয়া যায় পাতে।”

সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা বাংলায় এমন কোনও গ্রাম নেই, যেখানে কলাগাছ নেই। কারণ বহুবর্ষজীবী ও বীরুৎ শ্রেণির উদ্ভিদটির মূল ছাড়া প্রায় সমস্ত অংশই আমাদের নানা কাজে লাগে। আকৃতি ও স্বাদ অনুযায়ী কলাকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন নাম, যেমন মর্তমান, সবরি, দুধসর, দুধসাগর, অমৃতসাগর, অগ্নিশ্বর, কবরী, চন্দন কবরী, কাঁঠালি, জাবকাঁঠালি, চাঁপা, চিনিচাঁপা, বেহুলা, মন্দিরা প্রভৃতি।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বলছে, বিশ্বের সবথেকে বড় প্রজাতির কলার নাম ‘মুসা ইনজেন্স’ (Musa Ingens), যা অস্ট্রেলিয়ার পাপুয়া নিউ গিনি অঞ্চলেই ফলানো হয়। রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, এই কলা গাছের গোড়াটি ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং গাছের পাতাগুলি মাটি থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত উপরে থাকতে পারে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, কলার বাঞ্চগুলি ১৫ মিটার বা ৪৯ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গাছের কাণ্ড যদি ভাল ভাবে বৃদ্ধি পায়, তাহলে ৬০ কেজি পর্যন্ত ওজনের ৩০০ ফল ধরে রাখতে পারে। ফলগুলি ডিম্বাকৃতির এবং প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার বা ৭ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়।

অনন্ত রূপানাগুড়ি (Ananth Rupanagudi) নামে ভারতীয় রেলের এক কর্মী সেই ভিডিয়োটি প্রকাশ করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষজন সেই বিরাট বড় কলা খাচ্ছেন। টুইটার পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার পাপুয়া নিউ গিনিতে (Papua New Guinea) এই বিরল প্রজাতির কলা চাষ করা হয়। বছরের পর বছর ধরে মানুষ সেই কলা খেয়েও আসছেন। আর কলাগুলির ওজন প্রায় ৩ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। আর এই ভিডিয়োটি পোস্ট হবার কিছুক্ষণের মধ্যে এর ভিউ ৯১.৬ হাজার হয়ে যায়। আর প্রায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ পছন্দ করেছেন ভিডিয়োটি। মজা করে কমেন্টে অনেকে অনেক কিছুই লিখেছে। তার মধ্যে একজন বলেছেন, এই কলা খাওয়ার পর একটা গোটা দিন না খেয়েই থাকতে হবে।