দেবীরূপে মুখ্যমন্ত্রীর পূজো! তুমুল বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে

অমরনাথ দত্ত : মুখ্যমন্ত্রীর হোর্ডিংয়ের সামনে চন্ডিপাঠ করিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা করলেন বীরভূম জেলা তৃনমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। আজ বীরভূমের বোলপুরের চৌরাস্তা এলাকায় একটি মমতা ব্যানার্জীর ফ্লেক্সের সামনে পুরহীত ডেকে করা হলো চন্ডিপাঠ। দূর্গাপূজার আগে বোলপুর শহর জুড়ে রাস্তার উপর লাগানো হয়েছে মমতা ব্যানার্জীর, তৃনমূল কংগ্রেসের শুভেচ্ছা বার্তার হোর্ডিং।

এমনি একটি হোর্ডিং লাগানো হয়েছে বোলপুর চৌরাস্তা এলাকায়, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর মমতা ব্যানার্জীর একটি বড়ো ছবি আছে, আর সেই ছবির নীচে আজ পুরোহিত ডেকে করা হলো চন্ডীপাঠ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মন্ডল সহ অন্যান্য তৃনমূলের নেতা কর্মীরা।

আর অনুষ্ঠান শেষে অনুব্রত মন্ডল বলেন, “মমতা ব্যানার্জীই সব মমতা ব্যানার্জী থাকলে এনআরসি হবে না, উন্নয়ন হবে। তাই এই অনুষ্ঠান।”

যদিও, আজ মহালয়ার দিনে পরিবারের মৃত সদস্যদের উদ্দেশ্যে করা হয় তর্পণ। আর আজকের দিনেই এই মহালয়ার দিনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সামনে চন্ডিপাঠ করায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।

মুখ্যমন্ত্রীর হোর্ডিংয়ের নিচে এইভাবে চণ্ডীপাঠকে কটাক্ষ করে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল, “হিন্দু শাস্ত্র মতে আজ তর্পণের দিন। যুগ যুগ ধরে এই দিনটিতে সনাতন ধর্মের মানুষেরা তাদের মৃত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ দেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সামনে এহেন চণ্ডীপাঠ ঘিরে তৃণমূল কি করতে চাইছে তা বোঝা বড় দায়। তর্পণ তো তাদের উদ্দেশ্যে করা হয় যারা মারা যান তাদের আত্মার শান্তির জন্য। তাহলে কি তৃণমূল আগাম এরকম কিছু আশঙ্কা করছে।”

এছাড়াও তিনি আরো বলেন, “তৃণমূল দলটাই এরকম। ওরা আগে পিছে কি করতে হয় জানে না। ওরা যাকে যা খুশি, যেমন খুশি করতে চাই। সেটাই হয়তো করেছে।”