স্কুটিই অভিশাপ! ইউটিউবার অমিতের মৃত্যুতে কপালকে দুষছেন বাবা-মা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দারিদ্রতা আর শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধতাকে দূরে সরিয়ে সামনে চলতে শিখিয়েছিলেন অমিত মন্ডল (Amit Mondal Accident)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের অমিত মন্ডল একেবারেই দুঃস্থ-দরিদ্র পরিবারের একজন সন্তান। এরপর আবার শারীরিক দিক দিয়ে তিনি ছিলেন বিশেষভাবে সক্ষম।

তবে সব প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে অমিত নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং বর্তমানে নামখানা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পড়াশুনার পাশাপাশি ভিডিও তৈরি করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ইউটিউব স্টার। এরই মধ্যে হঠাৎ মঙ্গলবার তার স্কুটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় তিনজন আহত হন। যাদের মধ্যে অমিতের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়।

মাত্র ২২ বছর বয়সে অকালে অমিতের চলে যাওয়া তার বাবা-মায়ের কাছেও বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত। কারণ ইউটিউব থেকে রোজগার করে নিজে যেমন স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছিলেন অমিত সেই রকম তার বাবা-মাকেও স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন কিছু করে দেখানোর। কিন্তু সেসব অকালে চলে গেল। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বাবা-মা কপালকেই দুষছেন।

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গে উপার্জন বৃদ্ধি পাওয়াই নিজের শখ পূরণ করতে অমিত কিনেছিলেন একটি স্কুটি। সেই স্কুটিতে আরও দুটি চাকা লাগিয়ে নিজেই তা চালাতেন। কিন্তু সেই স্কুটিই যে তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে তা তিনি যেমন কোন দিন ভেবে ওঠেননি সেই রকমই ভেবে উঠতে পারছেন না তার বাবা-মা।

জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার বিকাল বেলায় অমিত মন্ডল তার মামা ও মামিকে নিয়ে বকখালি বেড়াতে গিয়েছিলেন। বকখালি থেকে ফেরার পথে স্কুটি চালাচ্ছিলেন তার মামা আর সেই সময় একটি ইঞ্জিনভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়েই ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি জাতীয় সড়কের ধারে দোকানের পিলারে ধাক্কা মারে স্কুটিটি। এরপরেই সব কিছু শেষ হয়ে যায়।

অমিতের বাবা বঙ্কিম মণ্ডল জানিয়েছেন, “ইউটিউব থেকে ছেলে উপার্জন করা শুরু করেছিল। ও (অমিত) বলত তোমাদের আর রোদে পুড়ে কাজ করতে হবে না। একটা ছোট্ট বাড়ি তৈরি করার স্বপ্নও দেখেছিল ও।”