কাঠফাটা রোদে সাইকেল চালিয়ে খাবার ডেলিভারি, চাঁদা তুলে মোটরবাইক কিনে দিলেন নাগরিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : খাবার হোক অথবা অন্যকিছু, ডেলিভারি বয়দের মূলত মোটরবাইকে করেই সেসকল ডেলিভারি দিতে লক্ষ্য করা যায়। তবে সম্প্রতি এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন, যিনি কাঠফাটা রোদে সাইকেল চালিয়ে খাবার ডেলিভারি করছিলেন।

ডেলিভারি বয় হিসেবে যে ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলেন তাকে লক্ষ্য করা যায় সাইকেল চালিয়ে খাবার ডেলিভারি দেওয়ার মাঝে মাঝেই ছায়ায় জিরিয়ে নিচ্ছিলেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকদের নজর কাড়ে। আসলে তার বয়স খুব একটা কম নয়। জীবনের বয়সন্ধিতে এসে এই ভাবে রোদের মধ্যে কষ্ট করে সাইকেল চালিয়ে তার খাবার ডেলিভারি করার বিষয়টি মনে দাগ কাটে প্রত্যেকের।

ওই ব্যক্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হওয়ার পরেই ভাইরাল হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ার একজন নাগরিক সিদ্ধান্ত নেন চাঁদা তুলে তাকে মোটর বাইক কিনে দেবেন। সেই সিদ্ধান্ত মতো অন্যান্য রাস্তার পাশে দাঁড়ান এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকরা একজোট হয়ে চাঁদা করে ওই ব্যক্তিকে একটি হিরো স্প্লেন্ডার গাড়ি কিনে দেন।

আদিত্য শর্মা নামে এক সোশ্যাল মিডিয়ার নাগরিক ওই ডেলিভারি বয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন। জানা গিয়েছে ওই ডেলিভারি বয়ের নাম দুর্গা মিনা। সেই ছবিতেই ফুটে উঠেছিল কিভাবে ওই বয়স্ক ডেলিভারি বয় সাইকেল চালিয়ে খাবার ডেলিভারি দিচ্ছেন এবং ছায়ায় বসে জিরিয়ে নিচ্ছিলেন।

আদিত্য শর্মা ওই ব্যক্তির ছবি ট্যুইট করার পাশাপাশি লিখেছিলেন, “আজকে আমার অর্ডার ঠিক সময়েই পৌঁছে গিয়েছিল। আর তাতে আমি অবাক হয়েছিলাম। এবার সাইকেলে করেই এসেছিলেন সেই ডেলিভারি বয়। আজকে আমার শহরের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। রাজস্থানে এই লোকটাই আমাকে যথাসময়ে খাবার পৌঁছে দেন। আমি তাঁর কাছে কিছু তথ্যও জানতে চেয়েছিলাম।”

জানা গিয়েছে ওই ডেলিভারি বয় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু করোনাকালে তার সেই চাকরি চলে যায়। এর পরেই তিনি এমন জোমাটো ডেলিভারি বয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং এখন মাসে ১০ হাজার টাকার কাছাকাছি রোজগার করেন। এর পাশাপাশি ওই ডেলিভারি বয় জানিয়েছিলেন, এই মাইনে আস্তে আস্তে জোগাড় করে তিনি একটি মোটর বাইক কিনবেন। কারণ ১০-১২ জনের খাবার সাইকেলে করে ডেলিভারি দিতে তার দম ফেটে যায়।

ওই ডেলিভারি বয়ের কথা শুনে আদিত্য সিদ্ধান্ত নেন তাকে একটি মোটর বাইক কিনে দেওয়ার। প্রথমে নিজের টাকা থেকে কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে নেট দুনিয়ার মানুষদের প্রতিক্রিয়া দেখে তাদের সাহায্য নিয়েই এই মোটরবাইকটি কিনে দেন তিনি।