আবেগপ্রবণ থেকে ছেলেমানুষি, ধোনির চরিত্রের যে ৭টি দিক ফাঁস করেছিলেন সাক্ষী

নিজস্ব প্রতিবেদন : যার অধিনায়কত্বে ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করেছিল ভারত, তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই তার অবসরগ্রহণের বিষয় নিয়ে নানা রকমের জল্পনা চলছিল। অবশেষে চলতি বছর ১৫ই আগষ্ট, ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন মহেন্দ্র সিং ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণার পর থেকেই ভক্ত মহলে হতাশার ছাপ পড়েছে। আর খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। খেলোয়াড় হিসেবে তার জীবনের ওঠানামা আমরা সকলেই কমবেশি জানি কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কেমন? ধোনির ব্যক্তি চরিত্র নিয়েই মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল তার স্ত্রী সাক্ষীকে।

ইনস্ট্রাতে লাইভ চ্যাটে কথোপকথনের মাধ্যমে সাক্ষী ধোনির চরিত্রের অজানা দিকগুলি শেয়ার করেছিলেন অনুরাগীদের সাথে। সাক্ষী জানান, কলেজ জীবনে তিনি সেভাবে ক্রিকেট খেলা দেখেননি। তবে ভারতীয় দলের শচীন টেন্ডুলকর, সৌরভ গাঙ্গুলীর মতো কয়েক জন খেলোয়াড়ের নাম শুনেছিলেন। তিনি তার মায়ের কাছে শুনেছিলেন লম্বা চুলের এক পাহাড়ি ছেলের কথা। তবে পরে যখন ধোনির সঙ্গে তার আলাপ হয় তখন ধোনির চুল কাটা ছিল।

আবেগপ্রবণ : সাধারণ মানুষ ভাবেন যে ধোনির মধ্যে আবেগ নেই। কিন্তু সাক্ষী জানান ধোনি ঠিক কতখানি আবেগপ্রবণ। ভীষন আবেগপ্রবণ মানুষ ধোনি আর খেলাটাকে তিনি ভীষণ ভালোবাসেন।

ঠান্ডা : এমনিতেই ধোনির মস্তিষ্ক ভীষণ ঠান্ডা। বাইরের কোনো কিছুই তাকে রাগিয়ে তোলে না। কোন পরিস্থিতিতেই তার মাথা গরম হয় না।

বাস্তবোচিত : তবে ধোনিও রেগে যান সেটা একমাত্র তার স্ত্রীর উপর। কারণ ধোনি খুব ভালো করে জানেন আপনজন ছাড়া কেউ রাগ অভিমানের মূল্য দেয় না, আর স্ত্রীই তার সবচেয়ে আপন।

কর্মঠ : ধোনি এতটাই কর্মঠ মানুষ যে তিনি চুপচাপ বসে থাকতে পারেন না। লকডাউনে বাড়িতে বসে তিনি তার বাইক মেরামতির কাজে লেগে গিয়েছেন।
কখনো বাইক মেরামতি করছেন কখনো নতুন পার্টস লাগাচ্ছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ধোনির বাইকের সংখ্যা নয়টি।

ছেলেমানুষি : ঠান্ডা মাথার কর্মঠ বাস্তববাদী এই মানুষটির মধ্যেও একটি ছেলেমানুষি সত্তা রয়েছে, তাইতো তার সবচেয়ে প্রিয় ভিডিও গেম খেলা। নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে তিনি পাবজি খেলেন। এমনকি ঘুমের ঘোরেও পাবজি খেলার কথা বলেন।

আড্ডা প্রবণতা : ধোনি ভীষণভাবে আড্ডা দিতে ভালোবাসেন। বিদেশ সফর চলাকালীন তিনি রাত্রে বেলায় নিজের হোটেলের দরজা খুলে রাখবেন আর অনেকেই আসতেন আড্ডা দিতে।আড্ডা দিতে তুমি এতটাই ভালবাসি যে কোন কোন দিন রাত কেটে ভোর হয়ে যেতো।

ধোনির জীবনের সেরা তিনটি মুহূর্ত : সাক্ষী বলেন ধোনির জীবনের সেরা তিনটি মুহূর্ত হলো পদ্মভূষণ পাওয়া, লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদ অর্জন করা আর ২০১১ এর বিশ্বকাপ জয় করা।