Asha Workers: ভাতা বাড়ানো সহ একগুচ্ছ দাবি সরব হলেন আশাকর্মীরা! কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি শোনা গেল তাদের গলায়

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বকেয়া বেতন মিটিয়ে শিক্ষা মিত্রদের কাজে ফেরানোর জন্য। আর এই আবহেই এবার মাঠে নামলেন আশাকর্মীরা।
সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে অনড় ছিলেন আশাকর্মীদের একাংশ। সোমবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে একজোট হয় পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের সদস্যরা। শীঘ্রই আশাকর্মীদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। তা বাড়িয়ে ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা করতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে তাদের তরফে। এছাড়া স্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকৃতি চাইছেন তারা।

পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে এইসকল দাবি পূরণ না হলে আগামী ২২ অগস্ট তারা একজোট হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি অভিযান করবে।আশাকর্মীদের তরফে যে বক্তব্য উঠে এসেছে তা হল, তাদের এখন ৫ হাজার ২০০ টাকা ভাতা প্রদান করা হয়। তাদের কোনও নির্দিষ্ট ছুটির তালিকা নেই। আশাকর্মীরা আরও দাবি করেছেন, তাদের নির্দিষ্ট ছুটির কথা ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া, তারা পিএফ, ইএসআই এর মতো সুবিধা পান না। তাই এগুলো দ্রুত চালু করতে হবে বলে জানান তারা।

আরও পড়ুন: Train Ticket Booking: আগামীকাল থেকে ট্রেনের টিকিট বুকিং থেকে রিফান্ডে আসছে নতুন নিয়ম! এবার কী যাত্রা আরও সহজ হবে?

পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুনের কথায়, “১৮ মার্চ এসেছিলাম। ২৮ মার্চ আবারও এসেছিলাম। আজও এসেছি। আমাদের দাবি, আশাকর্মীদের সরকারি কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ভাতা সঠিক মতো মেলে না। আগের সব বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভাতা বাড়িয়ে ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা করতে হবে। কাজ চলাকালীন অবস্থায় কারোর মৃত্যু হলে তাদের পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করতে হবে।” স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের নিকট তারা স্মারকলিপি দিতে সল্টলেকে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদিকার তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের বুকে ৭০ হাজারের কাছাকাছি আশাকর্মী রয়েছেন। তাদের এই একগুচ্ছ দাবি সরকার মান্যতা না দিলে কর্মবিরতির ডাক দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। ইসমত আরা খাতুনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, “দাবি মান্যতা না দেওয়া হলে আগামী ২২ অগস্ট কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি অভিযান করবো মিলিত হয়ে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চিনি আমরা তাকে। আমাদের কথা শুনবেন বলে নিশ্চিত আমরা।” এখন নজর রয়েছে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের দিকে। তারা আদেও আশাকর্মীদের এই একগুচ্ছ দাবি মানবে কিনা এখন সেটাই দেখার।