Train Name Process : সময়ের পরিবর্তনকে সাক্ষী রেখে ভারতীয় রেল যে দ্রুততার সঙ্গে উন্নতির শীর্ষে এগিয়ে চলেছে তাতে করে ভারতীয় রেলকে দেশের লাইফ লাইন আখ্যা দিলে ভুল কিছু হয় না। দেশের বুকে প্রতিদিন দাপিয়ে বেড়ায় হাজার হাজার ট্রেন। দেশের অন্যতম ভরসাযোগ্য পরিবহন মাধ্যম রেলে রোজ লক্ষ লক্ষ যাত্রী একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ায়। দেশে বসবাসকারী সর্বস্তরের মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উন্নত পরিষেবা প্রদান করে চলেছে রেল।
নিত্যযাত্রীদের জন্য একদিকে যেমন ছুটে চলেছে লোকাল ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেন। অন্যদিকে আবার ডিজিটাল যুগে সেমি হাই স্পিড ট্রেনের পরিষেবাও উপভোগ করছেন যাত্রীরা। এই সকল ট্রেনের নামও আবার ভিন্ন ভিন্ন। যাতে একটার থেকে অন্যটা পৃথক করতে পারেন যাত্রীরা। তবে এই যে ট্রেনের এত রকম নামের বাহার, তা আপনি কী জানেন এই ট্রেনের নামগুলো কে ঠিক করে?
একথা সত্যি যে রেল কর্তৃপক্ষকে একটি ট্রেনের নাম ঠিক করার জন্য বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হয়। ঠিক যেমন সংস্কৃতি, ইতিহাস, ভুগোল ও অন্যান্য কারণ। তারপর সব দিক খতিয়ে দেখে বিচার বিবেচনা করে মনস্থির করা হয় ট্রেনের নাম।
তাহলে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক রাজধানী এক্সপ্রেসের নাম কিভাবে ঠিক করা হয়েছিল। এক্সপ্রেস ট্রেনের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানীর নাম। একথা সকলেরই জানা যে দেশের বড় শহর গুলি থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস ছাড়ে। খুব সহজভাবেই বোঝা যায় রাজধানী এক্সপ্রেস এর নামকরণ হয়েছে রাজধানী দিল্লি থেকে।
দ্বিতীয়ত বিকানের এক্সপ্রেস এই নামটি রাখা হয়েছে কারণ এটি রাজস্থানের মতো জায়গাকে সংযুক্ত করে। তাই জায়গার নামানুসারে ট্রেন গুলির নাম নির্ধারণ করেছে রেল।অপরদিকে, ১৯৮৯ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ১০০ তম জন্মদিন উপলক্ষে শতাব্দী এক্সপ্রেসের পরিষেবা চালু করা হয়েছিল দেশের বুকে। ১০০ বছরের দীর্ঘ সময়কে শতাব্দী বলা হয়ে থাকে তাই রেলের তরফে এই ট্রেনটির নাম নির্ধারণ করা হয়েছিল শতাব্দী এক্সপ্রেস। অন্যদিকে বিলাসবহুল দুরন্ত ট্রেন তার দ্রুত গতির জন্য বিখ্যাত। এই ট্রেন খুব কম স্টেশনেই দাঁড়ায় তাই এই ট্রেনের নামকরণ করা হয়েছে দুরন্ত এক্সপ্রেস।
এছাড়া আঞ্চলিক পরিচয়ের বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে গোদাবরীর আশেপাশের এলাকা দিয়ে যাওয়া ট্রেনের নামকরণ করা হয়েছে গোদাবরী এক্সপ্রেস। এই নামকরণ এর ধরণ থেকেই স্পষ্ট যে স্থান, কাল, মাহাত্ম্য এই সকল বিষয়ে বিচার করে বিভিন্ন জায়গার ট্রেনের নাম ঠিক করা হয় রেলের তরফে।রেলওয়ে বোর্ড দায়িত্ব পালন করে ট্রেনের নামকরণের প্রক্রিয়ার জন্য। সব রাজ্য ও রেলওয়ে জোনগুলির থেকে শলা পরামর্শ নেওয়ার পর কোন ট্রেনের কী নাম হবে সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় রেল।