TMC Leader: গতকাল গভীর রাতে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে দুর্গাপুরে একটা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা শেখ নিয়ামুলের। আজ সকাল থেকেই এলাকার রয়েছে থমথম। ঘটনাস্থলে মোতায়ন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই এলাকায় কোন তৃণমূল নেতার (TMC Leader) মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও বহুবার বহু নেতার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ যদিও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
কাঁকড়তলা থানার বড়রা গ্রামে তৃণমূল নেতা (TMC Leader) শেখ নিয়ামুলকে বেধড়ক মারধর করেছে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিল বীরভূম জেলার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, ওই তৃণমূল নেতা শেখ নিয়ামুল শুক্রবার রাতে বড়রা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন, ঠিক তখনই তার ওপরে হামলা করা হয়। যদিও কারা তার উপর হামলা করেছে এখনো সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী সেই তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) বড়রা গ্রামের গরিব পাড়া সংলগ্ন এলাকায় বাইক থেকে নামিয়ে পাথর দিয়ে থেঁতলে ও লোহার রড, সহ একাধিক ভারী বস্তু দিয়ে বেধরক মারধর করে। সংকটজনক অবস্থাতে তাকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কাঁকড়তলা থানার পুলিশ শীঘ্রই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে জায়গায় এসে উপস্থিত হয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বড়রা গ্রামে।
আরও পড়ুন: ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ইকো পার্ক, জানালো মধ্যমগ্রাম পুরসভা
এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে বেশ কয়েকদিন আগে কাঁকরতলা থানার জামালপুর গ্রামে বালির তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। বোমাবাজির ঘটনায় আহত হয় দুজন। এই বোমাবাজির ঘটনা হওয়ার পর সরিয়ে দেওয়া হয় কাঁকরতলা থানার ওসিকে। এই ঘটনাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয় দুবরাজপুরের সিআই শুভাশিস হালদারকে। বোমাবাজির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কাঁকরতলা থানা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো। খয়রাশোল ব্লক কবে ফিরবে আবার পুরনো ছন্দে?
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। দুটো মোটরবাইকে আগুন লাগানো হয়। দুটো বাইকে আগুন লাগানোর মূলে কারা আছে এখনো পর্যন্ত তা জানা যায়নি। এমনকি কোন পক্ষের বাইকে আগুন লাগানো হয়েছে তাও জানা যায়নি স্পষ্টভাবে। তবে ঘটনাস্থলে দুবরাজপুর থেকে দমকলের একটা ইঞ্জিন গিয়েছিল।