যুদ্ধবিরতির জন্য আমেরিকার পক্ষ থেকে মধ্যস্থতার চেষ্টা চললেও, কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা ভারত মেনে নেবে না স্পষ্ট জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় পক্ষ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে কোনও বাহ্যিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। উল্টে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ফেরত আনার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে দিল্লি। সন্ত্রাসবাদের মূলোচ্ছেদই ভারতের মূল উদ্দেশ্য।
শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হয়। এরপর রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সরকার সেই প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। ফলে কূটনৈতিক মহলে নতুন করে আশঙ্কার সঞ্চার হয়। এতদিন যে কাশ্মীর ইস্যু শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক ছিল, এবার কি তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করতে চলেছে?
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দেশপ্রেম! ভারতীয় সেনার পাশে থাকার বার্তা! এবার অভিনব আয়োজনে অভিনব কর্মসূচি তৃণমূলের
তবে রবিবারই ভারত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। দিল্লির সূত্র অনুসারে, ভারতের লক্ষ্য পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করা। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনায় দিল্লি আগ্রহী হলেও, কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার কোনও প্রস্তাবই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানানো হয়।
এদিন, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে কাশ্মীর সমস্যার কোনও সমাধান বের করা সম্ভব কিনা, তা দেখতে চান তিনি।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এমন এক ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, যা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত এবং কাশ্মীরবাসীর অধিকারকে সম্মান করবে।’
এরপর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। এতদিন ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক স্তরে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে এসেছে। বাইরের কারও হস্তক্ষেপে সেই নীতি বদলাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে ভারত কেন্দ্রীয়ভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছে, কাশ্মীর বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা তারা মেনে নেবে না।