প্রতিদিন সকালে এই পাখিটির চিৎকারে ঘুমের বারোটা বেজে যায়। গোটা সকাল থেকে বিকেল যার কর্কশ আওয়াজ অতিষ্ঠ করে তোলে সে হল কাক। তবে যতই সে কাকা করে অতিষ্ঠ করে তুলুক না কেন তার বুদ্ধির কাছে কিন্তু সকলেই হার মানতে বাধ্য। আসলে কাক হল খুব চালক ও কৌশলী পাখি যার অসীম ধৈর্য তাকে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি সম্মুখীন করতে এগিয়ে দেয়।
আচার্য চাণক্য একদিকে যেমন নীতিশাস্ত্র নিয়ে কথা বলেছেন ঠিক তেমনই গুরুত্ব দিয়েছেন একাধিক পারিপার্শ্বিক বিষয়েও। তার মতে, কাকের মধ্যে এমন কিছু গুণাবলী রয়েছে যা মানুষ অর্জন করতে পারলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারবে।
প্রথমত, কাক যেহেতু খুব ধূর্ত প্রাণী তাই তার চোখ ঘুরে বেড়ায় চারিদিকে। এই গুনটি যদি মানুষ আয়ত্ত করতে পারে তবে সতর্ক ও সজাগ থেকে যেকোনো বিপদের মোকাবিলা সে অনায়াসে করতে পারবে। এমনকি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও তার ইতিবাচক প্রতিফলন দেখা যাবে।
দ্বিতীয়ত, কাক হল বাস্তব বুদ্ধি সম্পন্ন একটু প্রাণী। এই গুণটি মানুষের মধ্যে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন তার কর্মক্ষেত্রে সঠিক সময় কাজে লাগানোর জন্য। একমাত্র বাস্তববুদ্ধিই পারে জটিল সমস্যার সমাধান করতে।
তৃতীয়ত, কাক যেহেতু খুব ধৈর্যশীল একটি প্রাণী তাই অপেক্ষা করে সঠিক সময় পা ফেলে। মানুষ এই গণের অধিকারী হতে পারলে যেকোনো স্বপ্নের নাগাল সে পাবে। কারণ ধৈর্যই পারে মনকে শান্ত রাখতে।
চতুর্থত, কাক যেহেতু খুব চালাক প্রাণী তাই প্রতিটি কাজ পরিকল্পনা মাফিক সে করে। নিজের ঘর তৈরি থেকে খাবার সংগ্রহ সবটাই। তাই মানুষ যদি তার জীবনে সফলতার স্বাদ পেতে চায় তার অগোছালো না থেকে পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে চলা উচিত।
পঞ্চমত, আকারে কাক অন্য পাখিদের থেকে ছোট হলেও তা বড় শত্রুর আঘাতের সামনে দাঁড়াতে পিছু পা হয় না। কারণ সে সাহসী। মানুষের মধ্যেও এই ভীতিহীন মনোভাব থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবেই সে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারবে।
ধৈর্যশীলতা সাহসিকতা সতর্কতা, বুদ্ধিজীবী, পরিকল্পনাকারী চাণক্য এর মতে এই পাঁচটি গুণের সমন্বয় একজন ব্যক্তি তার জীবনে সফলতার স্বাদ পেতে পারেন।