পোস্ট অফিসের এই স্কিমটি কিন্তু সবচেয়ে সেরা! প্রতিমাসে নিশ্চিত লক্ষীলাভ

অর্থ ছাড়া রোজের জীবনধারণ সম্ভব নয়। আর প্রতি মাসের এই আয় থেকে কীভাবে বাড়তি কিছু টাকা পাওয়া যায় সেই আশায় ব্যাঙ্ক সহ নানান প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন মানুষ। তবে যেকোনো জায়গায় বিনিয়োগের আগে তার নিয়ম ও শর্তাবলী সম্পর্কে সমস্তটা জেনে নেওয়া ভীষণ জরুরি।

প্রত্যেক সাধারণ মানুষেরই চাহিদা থাকে স্থায়ী এবং নিশ্চিত আয়ের উৎসের। এমন এক সেরা আয়ের উৎসের সন্ধান দেবো এই প্রতিবেদনে।
ঠিকই শুনেছেন, এই সেরা আয়ের উৎস হল পোস্ট অফিসের মাসিক আয় প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট কিছু অর্থ গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে তাও আবার কোনও বাড়তি ঝুঁকি ছাড়াই। সঠিক নিয়মে পোস্ট অফিসে অর্থ বিনিয়োগ করলেই প্রত্যেক মাসে মিলবে নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ।

ভারতের সর্বত্রই পোস্ট অফিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, সে ছোট গ্রাম হোক বা বড় কোনো শহর। পোস্ট অফিসের কাজের মধ্যে চিঠি বিলি ছাড়াও আর্থিক সুরক্ষার দিকটিও সমানভাবে প্রাধান্য পায়। পোস্ট অফিসের প্রচুর স্কিম রয়েছে গ্রাহকদের জন্য। তবে সবথেকে লাভজনক স্কিমটি হল মাসিক আয় প্রকল্প বা MIS স্কিম।

আরও পড়ুন: এক ছাতার নিচেই মিলবে সমস্ত পরিষেবা! জিওর ৭২ দিনের রিচার্জে হবে গ্রাহকদের মুশকিল আসান

সূত্রের খবর অনুযায়ী গ্রাহক এই স্কিমে একবার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করলেই প্রত্যেক মাসে তার অ্যাকাউন্টে ভাল টাকার সুদ আসবে। সাধারণ মানুষদের জন্য খুশির খবর এটাই যে এখানে প্রত্যেক বছরে ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন গ্রাহকরা। এবার আসা যাক কত টাকা বিনিয়োগে কত টাকা সুদ মিলবে সেই হিসেবে।

গ্রাহক মোট ৫ লক্ষ টাকা এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে, প্রত্যেক মাসে ৩০৮৩ টাকা করে সুদ মিলবে। আবার মোট ৭ লক্ষ টাকা এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে, প্রত্যেক মাসে ৪৩১৭ টাকা করে সুদ মিলবে। বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে ৯ লক্ষ টাকা হলে, প্রত্যেক মাসে ৫৫৫০ টাকা করে সুদ মিলবে। আরও বেশি টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থাৎ যদি ১৫ লক্ষ টাকা জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করেন গ্রাহক সেক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসে ৯৩২০ টাকা করে সুদ পেতে পারেন তিনি। যা অত্যন্ত লাভজনক একটি স্কিম বলা চলে।

গ্রাহক তার সুবিধা অনুযায়ী পোস্ট অফিসের এই স্কিমে একা বা যৌথভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। কিন্তু এখানে সর্বনিম্ন ১৫০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্যদিকে, গ্রাহক যদি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে সে সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ লক্ষ টাকা। অ্যাকাউন্টে নমিনি রাখতে পারবেন। মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আবার সুবিধা অনুযায়ী অফিসও বদল করা সম্ভব।

পোস্ট অফিসের সূত্র অনুযায়ী এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট চাইলে গ্রাহককে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। এবং বয়স ১৮ বছরের বেশি হওয়া বাধ্যতামূলক। যেহেতু এই স্কিমে একবারে ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তাই প্রবীণ নাগরিক থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী প্রত্যেকের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি লাভজনক প্রকল্প।