করোনায় স্কুল বন্ধ, অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সবাইকে পাশ করানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। তবে এই লকডাউন শুরু হওয়ার দিন কয়েক আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার খুদে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত হয় ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত রকম স্কুল-কলেজের পঠন-পাঠন। আর পঠন-পাঠন বন্ধ থাকায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত চলতি শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কাউকেই থাকতে হবে না তাদের পুরাতন ক্লাসে। সকল পড়ুয়াকেই পাশ করানো হবে।

বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাসের পড়ুয়াদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে নবম শ্রেণী থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে কিভাবে পঠন-পাঠন চালানো যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা দপ্তর।

অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা পরীক্ষায় পাশ না করলেও পরের ক্লাসে বিনা বাধায় উঠতে পারবে। আর এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে।কিন্তু করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে মার্চ মাস থেকেই বন্ধ রাজ্যের সমস্ত রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনার দিক দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদের। যে কারণে রাজ্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

তবে নবম থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়ুয়াদের জন্য আলাদাভাবে চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা দপ্তর। আর সেই চিন্তা ভাবনার মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারে পড়াশোনা চালানো। সে ক্ষেত্রে ইমেইল, ওয়েবসাইট, এমনকি দূরদর্শনের মাধ্যমে তা করা যায় কিনা সে নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে দপ্তর বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে পুরো বিষয়টি রাজ্য সরকারের অনুমোদনের পরেই কার্যকর হবে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের এমন সিদ্ধান্তের আগে সিবিএসই বোর্ড এবছর কোনরকম বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই পড়ুয়াদের পরের ক্লাসে উঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে সরাসরি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে তারা জানায়। এরপর এই একই পথে হাঁটে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।