স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে যা ইঙ্গিত দিচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ দিনের লকডাউন জারি করেন। আর সেই লকডাউনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ই এপ্রিল। তবে এই লকডাউনের সময়সীমা শেষ হলেও মোদির মন্ত্রিসভার অনেক মন্ত্রীই এই লকডাউনের মেয়াদকে আরও বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল তুলেছেন। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র সরকারকে অনুরোধ করেছেন। তারা ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

পাশাপাশি মোদির মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় জমায়েত ইত্যাদির উপর আরও একমাস লকডাউন থাকা উচিত বলে মনে করছেন। এইসব ক্ষেত্রগুলি থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন ওঠা উচিত বলে তাদের মন্তব্য। মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠে এসেছে, ২১ দিনের লকডাউন জারি হলেও এখনও অনেক রাজ্য রয়েছে যে সকল রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ ঊর্ধ্বমুখী। সরকারের পরিকল্পনাকে ধাক্কা দিয়েছে নিজামউদ্দিনের জমায়েত। যে কারণে লকডাউন উঠলে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা। তাদের আরও বক্তব্য সরকারকে সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যদিকে আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, দেশের স্বার্থ বজায় রেখেই সরকার সিদ্ধান্ত নিবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে দেশের সামগ্রিক আলোচনার পাশাপাশি উঠে এসেছে স্কুল-কলেজের প্রসঙ্গ। আর সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রিসভার কয়েকজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, লকডাউন আরও বাড়ানো হোক অথবা তুলে নেওয়া হোক, স্কুল কলেজ খোলা এখনই উচিত হবে না। তাদের মতে স্কুল-কলেজের গরমের ছুটি এমনিতেই এগিয়ে আসছে। সেই ছুটিকে আরও একটু এগিয়ে নিয়ে এসে এসব ক্ষেত্রে লকডাউন আরও এক মাস বাড়ানো হোক। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সমাবেশ, শপিং মল ইত্যাদির মতো জমায়েত স্থানগুলিতেও আরও একমাস লকডাউন জারি থাকুক।