‘না খেয়ে কেউ ঘুমাবে না’, ১.২ লক্ষ মানুষের খাবারের দায়িত্ব নিলেন ঋত্বিক

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে দিনের পর দিন করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার পর থেকেই বহু তারকা এগিয়ে আসেন দেশের পাশে দাঁড়াতে। কেউ আর্থিকভাবে, কেউ আবার সরাসরি দিনমজুরদের পাশে দাঁড়িয়ে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ঠিক তেমনি সরাসরি আর্থিকভাবে না হলেও মানবদরদী পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল বলিউড তারকা হৃত্বিক রোশনকে। প্রথম দফায় তিনি বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কর্মীদের মাস্ক কিনে দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আর এবার ১.২ লক্ষ হতদরিদ্র মানুষের খাবারের দায়িত্ব মাথায় তুলে নিলেন। তাঁর লক্ষ্য কাউকে যেন না খেয়ে রাতে ঘুমাতে যেতে না হয়।

দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যখন লকডাউন জারি করা হয় তখন বেশিরভাগ দিনমজুর মানুষ কাজ হারিয়ে আর্থিক সংকটে রয়েছেন। অনেকের বাড়িতে এমনও পরিস্থিতি হয়েছে যে সামান্য চাহিদা চাল-ডাল, সেটুকু বরাদ্দও নেই ঠিকঠাক। আর সেই সকল মানুষের কথা ভেবে হৃত্বিক রোশন ‘অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এই মহৎ কাজে হাত দিয়েছেন। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের নিজেদের দায়িত্বে রান্না করে পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে একাধিক বৃদ্ধাশ্রমের মানুষের কাছে। পাশাপাশি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলিতেও। আর এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে গাঁটছড়া বন্ধন তৈরি করে হৃত্বিক রোশন দেশের অসময়ে হত দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ালেন।

অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মঙ্গলবার ওই সংস্থার তরফ থেকে হৃত্বিক রোশনকে ট্যুইট করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। ট্যুইট করে বলা হয়, “লকডাউন কাটিয়ে করোনা মুক্ত হয়ে দেশ যতদিন না স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরছে ততদিন তাদের সংস্থা হতদরিদ্র মানুষগুলির বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেবে। তাদের তৈরি করা খাবার প্রতিদিন পৌঁছে যাচ্ছে ১.২ লক্ষ মানুষের কাছে। আর এই খরচের পুরোটাই বহন হচ্ছে ঋত্বিক রোশনের দেওয়া অনুদান থেকে।”

আর এই ট্যুইটের পরিপ্রেক্ষিতে হৃত্বিক রোশন লেখেন, “প্রার্থনা করি দেশের কাউকেই যেন পেটে খিদে নিয়ে ঘুমোতে না হয়। কেউ যেন না খেয়ে থাকেন। আপনারাই হলেন দেশের সত্যিকারের সুপারহিরো।”