লাল্টু: ফেব্রুয়ারি মাসে তৃণমূল এক নেতাকে মোটরবাইক থেকে নামিয়ে এমন পেটানো হয় যে ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়। বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানা এলাকার বড়রা গ্রামের স্থানীয় ওই তৃণমূল নেতা শেখ নিয়মূলের মৃত্যুর পর অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। এমনকি অভিযুক্তদের অনেকে ব্যাঙ্গালোরে পর্যন্ত গা ঢাকা দিলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তবে এবার এই ঘটনায় একেবারে অন্য গল্প উঠে এলো।
পুলিশ এই ঘটনায় এবার বুধবার দুজনকে দুবরাজপুর আদালতে তোলে। যে দুজনকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয় তাদের মধ্যে একজন হলেন শেখ কালো এবং আরেকজন শেখ মিলন। এই দুজনকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
রাতের অন্ধকারে ধাওয়া করে পেটানোর পর মৃত স্থানীয় ঐ তৃণমূল নেতার পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাঁকড়তলা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। আর এসবের মধ্যেই গত ২৫ মে পুলিশ জানতে পারে, ওই ঘটনায় আরও দুজন অভিযুক্ত শেখ কালো এবং শেখ মিলন চন্দ্রপুর থানায় ধরা পড়েছে অন্য কেসে। যা হলো মাদক আইন।
পুলিশ এই বিষয়টি জানতে পারার পর আদালতের কাছে ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটে যাওয়া তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনার কেসে অভিযুক্ত হিসাবে ওই দুজনকে চিহ্নিত করার আবেদন জানায়। পুলিশের পুলিশের এমন আবেদন আদালত মঞ্জুর করে এবং এরপরই সে কালো ও শেখ মিলনকে দুবরাজপুর আদালতে তুলে পুলিশ পাঁচ দিনের হেফাজতে নেয়। এই পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন দুবরাজপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্র প্রসাদ দে।