রাজ্যের এই ৪ জেলা থেকেই আসছে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলায় বাড়ছে করোনা সংক্রামিতদের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে মোট ২৯ জন সংক্রামিত হয়েছেন। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ২৪৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার তালিকায় এখনও রয়েছেন ৭৩ জন। এমনকি কোন জেলায় সর্বাধিক মানুষ করোনা সংক্রামিত হচ্ছেন তাও জানালেন মুখ্যসচীব।

মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত মোট ৬১৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ১৬ জন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ও ৩৩ হাজার ৩০৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১৬৪০ জনকে সরকারি কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৯ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।

রাজীব বাবু এদিন জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে গত ১৯ তারিখ করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসায় জেলাটি রেড জোনে পরিণত হয়। পূর্ব মেদিনীপুরকে অরেঞ্জ জোনে ফিরে আসতে গেলে আরও ১৪ দিন লাগবে। ১০টি জেলা রয়েছে অরেঞ্জ জোনে। এবং ৯টি জেলা রয়েছে গ্রিন জোনে।

রেড জোনে থাকা চারটি জেলা কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিন ২৪ পরগণা থেকেই সবথেকে বেশি করোনা সংক্রমণ হচ্ছে বলে জানান মুখ্য সচিব। ফলে এই কটি জেলাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।

রাজ্য সরকারের কড়া সতর্কতার পরও বহু মানুষ সচেতন হননি। বাজারের ব্যাগ হাতে খোশমেজাজে বাজার করতে দেখা গিয়েছে অনেককে। অন্যদিকে শক্ত হাতে হাল ধরেছে প্রশাসন। রেড জোনগুলিকে বিশেষ ভাবে নজরে রাখা হচ্ছে। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি করছেন পুলিশ। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেন।

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা আরও জানান, এখনও ২২০ টি র‍্যপিড টেস্ট করানো হয়েছে। আগামী দিনে টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। মালদাতেও করোনা মোকাবিলায় র‍্যাপিড টেস্টের কাজ চলছে। ৭৪ টি টেস্ট করানো হয়েছে মালদায়। এর সবকটিই নেগেটিভ আসে। রাজীব বাবু দাবি করেন, এ রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে ৪ লক্ষেরও বেশি পিপিটি কিট দেওয়া হয়েছে। এমনকি করোনা পরীক্ষার জন্য আরও দুটি নতুন ল্যাব খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।