১০১টি বাসে ফেরানো হচ্ছে রাজস্থানে আটকে পড়া বাংলার পড়ুয়াদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন লকডাউনের কারণে যেসকল ছাত্রছাত্রীরা রাজস্থানের কোটায় গিয়ে আটকে পড়েছেন তাদের তিনি ফিরিয়ে আনবেন। ভিন রাজ্যে আটকে পড়া এই সকল ছাত্র-ছাত্রীরা যারা এখন রাজস্থানের কোটায় আটকা পড়ে আছেন সেই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি বরাবর অভয় দান করেছেন। তিনি বলেছেন তিনি তাদের পাশে আছেন। তারা যেন কোন রকম দুশ্চিন্তা না করে। তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে তাড়াতাড়ি, এমন আশ্বাসবাণী বারংবার শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। এবার তিনি কাজে করে দেখালেন।

ভিন রাজ্যে আটকে পড়া ২৫০০ থেকে ৩০০০ পড়ুয়াকে ফেরাতে ১০১ টি বাসের বন্দোবস্ত করলো রাজ্যে। বুধবার তারা বাসে উঠেছেন ও আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজ্যে আসবে এই সকল ছাত্র-ছাত্রীরা। বাসগুলি পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জোনে এসে দাঁড়াবে। এই তিনটি জোন হল কলকাতা, শিলিগুড়ি ও আসানসোল। ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি যে জোনের মধ্যে পড়ে সেই ছাত্র-ছাত্রী সেই জোন অনুযায়ী বাসে উঠবেন। বাসে ওঠার আগে এবং বাস থেকে নামার পর দুইবার তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।

বুধবার ২৯ এপ্রিলের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ফেরার পথে কোথায় থাকবে ও কোথায় খাবে সেই সমস্ত বন্দোবস্ত করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। বাস আজকেই কোটা থেকে আড়াই হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে।

এই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, সোমবার থেকে গ্রীন জোনে চলতে পারবে বেসরকারি বাস। তবে সেই বাসে ২০ জন যাত্রী নিয়ে জেলার ভেতর চলবে।আগামী সোমবার থেকে পাড়ার স্টেশনারি দোকান, ছোট ইলেকট্রনিক্স দোকান, মোবাইল ব্যাটারি চার্জিংয়ের দোকান, হার্ডওয়ার, লন্ড্রির দোকান খোলা যাবে। কোন ব্যবসায়ী চাইলে তিনিও দোকান খুলতে পারবেন তবে কোনোভাবেই দোকানের সামনে ভিড় করতে দেওয়া যাবে না। চাইলে অনলাইন ডেলিভারীর ব্যবস্থা করতে পারেন ব্যবসায়ীরা। তবে ফুটপাথের দোকানগুলি এখনই খুলছে না। গ্রীন জোনে ছোট কারখানা খোলা যাবে।

নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনে তারা নির্মাণের কাজও করতে পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সাবধান করে দিয়ে বলেন, মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত আমাদের নিয়ম মানতেই হবে। বর্ষার সময় সংক্রমণের মাত্রা আবারও বাড়তে পারে। বাইরে বেরোলে মাস্ক পড়ে বেরোনো মাস্ট এবং সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। ভীড় করা কোনোভাবেই চলবে না।