Indian Railways: রাজধানী এক্সপ্রেস বা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভারতীয় রেলের আওতায় নয়, তাহলে মালিকানা কার হাতে?

Indian Railways: সময়ের পরিবর্তনকে সাক্ষী রেখে ভারতীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত উন্নতির পথে হাঁটছে। নিত্য যাত্রীদের অন্যতম ভরসাযোগ্য পরিবহণ ব্যবস্থা বললেই আগেই মাথায় আসে রেলের কথা। প্রতিদিন স্বল্প খরচে উন্নত পরিষেবা প্রদান করে যাত্রীদের যাতায়াতকে আরও সহজ করে তোলে ভারতীয় রেল। তাই ভারতীয় রেলকে লাইফ লাইন বললেও কিছু ভুল হবে না। দেশের সর্বস্তরের মানুষ যাতে রেলের পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন এই লক্ষেই এগিয়ে চলেছে রেল। দেশের বুকে এখন ছুটছে বন্দে ভারতের মতো সেমি হাই স্পিড ট্রেন।

অন্যদিকে রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস এর মতো বিলাসবহুল ট্রেনের পরিষেবা তো বছরের পর বছর ধরে চলছে। তবে জানলে অবাক হবেন এই সব ট্রেনগুলো কিন্তু ইন্ডিয়ান রেলওয়ের (Indian Railways) অধীনে নয়। বর্তমানে এই বিলাসবহুল ট্রেনগুলো ভারতীয় রেলওয়ে ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের আওতায় রয়েছে। পাশাপাশি শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনের সব ইঞ্জিন, পণ্যবাহী ট্রেনের কোচ সহ যাত্রীবাহী কোচের মালিক আইনতভাবে ভারতীয় রেলওয়ে ফাইন্যান্স কর্পোরেশন।

মিডিয়া রিপোর্ট তরফে আরও জানা গিয়েছে, ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের হাতেই ট্রেনগুলোর মালিকানা পুরো সময়ের জন্য থাকে। ৩০ বছরের জন্য রেলকে লিজে দেওয়া হয়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শীর্ষ স্থান দখলের চেষ্টায় মরিয়া ভারতীয় রেল (Indian Railways)। মোটা অংকের টাকা ব্যয় করে নতুন নতুন প্রকল্প এর কাজে হাত লাগাচ্ছে ভারতীয় রেল। বাদ যাচ্ছে না নতুন লাইন পাতার কাজও। যার জন্য চাহিদা বেড়েছে নতুন কোচের।

আরও পড়ুন: টিকিটের দাম হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে লাখে পৌঁছেছে! এটিই কিন্তু এশিয়ার সবচেয়ে বিলাসবহুল ট্রেন

রিপোর্ট বলছে, ২০২৫ অর্থ বর্ষে ভারতীয় রেল ৭,১৩৪টি কোচ তৈরি করে রেকর্ড গড়েছিল। ২০২৪ অর্থবর্ষে কোচের সংখ্যা ছিল ৬,৫৪১টি। যার উৎপাদন এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশে। বিগত অর্থবর্ষে রেলের (Indian Railways) তরফে নন-এসি কোচের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। উৎপাদন এসে পৌঁছেছিল ৪,৬০১টি নতুন কোচে।

রেল মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০০৪-১৪ সালে বার্ষিক গড় কোচ উৎপাদনের সংখ্যা ছিল ৩,৩০০টি। ২০১৪-২৪ সালে তা পৌঁছেছিল ৫,৪৮১টিতে। গত দশকে মোট ৫৪,৮০৯টি কোচ উৎপাদন করা হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। যাত্রী চাহিদা পূরণের লক্ষে রেল যে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে, এই পরিসংখ্যান দেখে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।