Kalyani Expressway: সড়কব্যবস্থা যদি উন্নত হয় তাহলে সেই জায়গার উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ চলাচলের পথ হল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত এখানে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। শুধু মানুষ নয় যানবাহনের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হলো কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। জনসাধারণের জন্য সম্প্রতি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়ে গেছে ছয় লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে। এর ফলে আরও সুগম হতে চলেছে নদীয়া থেকে কলকাতাকে সংযুক্ত করার পথ। কিন্তু যত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এইখান থেকেই। নতুন তৈরি হওয়া পানপুর টোল প্লাজায় (Panpur Toll Plaza) আদৌ টোল ট্যাক্স আদায় করা হবে কিনা এই নিয়ে। স্থানীয়রা দাবি করেছে তাদের এই টোল ট্যাক্স এর বাইরে রাখার জন্য।
প্রায় শেষের পথে চলে এসেছে সোদপুরের মুড়াগাছা মোড় থেকে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের (Kalyani Expressway) মূল প্রকল্পের কাজ। কিন্তু এখনো চলেছে নিকাশে পরিকাঠামোর কাজ মুড়াগাছা এবং ওয়্যারলেস মোড়ে। তবে এরই মধ্যে পানপুর মোড়ে তৈরি হয়েছে নতুন টোল প্লাজা। রাজ্য সরকারের পূর্ত দপ্তর এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি যে, এখান থেকে আদৌ টোল নেওয়া হবে কিনা। স্থানীয়রা যদিও টোল না দেওয়ার কথাই বলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা স্পষ্ট জানিয়েছে যে, এই রাস্তা তাদের প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে তাহলে তাদের থেকে টোল নেওয়ার কোন প্রয়োজন হয় না। রাজ্য সরকার যদিও এই বিষয়ে কোনোরকম সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ তারা একাধিকবার এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন এবং প্রতিবার টোল দিলে তাদের আর্থিক খরচ বেড়ে যাবে। জনপ্রতিনিধিরা এই বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম মনে করেছেন, মোটরবাইক ও স্কুটারের মতো দুই চাকার যানবাহনের জন্য টোল ট্যাক্স নেওয়া উচিত নয়। এলাকার বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত যানবাহনের জন্য ছাড় দেওয়া উচিত টোলের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: নতুন প্রকল্প হবে সুন্দরবনে, কেন্দ্রের অনুমতির অপেক্ষায় রাজ্য
সকলেরই নজরে এসেছে যে, ব্যারাকপুর ওয়্যারলেস মোড় পার করলে একটি টোলপ্লাজা ছিল। কিন্তু সেখানে চলত অনিয়মিতভাবে টোল আদায়ের কাজ, সেই কারণে কিছুদিন পর তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রসারিত কল্যাণী এক্সপ্রেক্সওয়ের (Kalyani Expressway) ছয় লেন বিশিষ্ট রাস্তা চালু হওয়ার পর পানপুরে তৈরি হওয়া টোল প্লাজা রীতিমতো সমস্যা সৃষ্টি করেছে সাধারণ মানুষের কাছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই প্লাজার কার্যকারিতা কেমন হবে?
রাজ্যের পুত্র সচিব অন্তরা আচার্য জানিয়েছেন, কিভাবে এবং কার কাছ থেকে টোল নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার। এটি রাজ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার বিষয়। তবে তিনি আরো জানান যে, বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে মুড়াগাছা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার বাদ দিয়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের (Kalyani Expressway) নতুন অংশ চালু করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ওভারব্রিজ খুলে দেওয়া হয়েছে সেখানে।
সরকারের পরিকল্পনা এবং স্থানীয়দের দাবি নিয়ে বর্তমানে একটা টানাপোড়েন চলছে। সরকার যদি টোল আদায় চালু করে তাহলে স্থানীয়দের বিক্ষোভ আরও বাড়বে। কিন্তু টোল বন্ধ করে দিলে সড়কব্যবস্থার ক্ষেত্রে এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়বে। সরকারের উপর চাপ পড়বে। কিভাবে রাজ্য সরকার এই সমস্যার সমাধান ঘটাবে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।