আহমেদপুর-কাটোয়া রেল রুট কীভাবে নতুন জীবন পেতে পারে! চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন

আহমেদপুর কাটোয়া রেলপথ বছরের পর বছর ধরে সাধারণ মানুষদের কাছে কৌতুহলের বড় কারণ হলো এখানকার ন্যারোগেজ রেলপথ। ১৯১৭ সাল থেকে এটি ছিল ন্যারোগেজ, পরবর্তীতে ২০১৩ সালে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তা ব্রড গেজে রূপান্তরিত হওয়ার কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত ধরে এই রুটে ব্রডগেজ ট্রেন চালু হয়। তবে প্রথম দিকে কেবলমাত্র একটি, বর্তমানে চার জোড়া ট্রেন চলে।

তবে চার জোড়া ট্রেন চাললেও কিন্তু এই রুট এখনো সেই মরা অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। কারণ সাধারণ মানুষদের চাহিদা অনুযায়ী এই রুটে ট্রেন না থাকায় অনেকেই যেমন অসুবিধায় পড়ছেন, ঠিক সেই রকমই রুটটিকে অনেকেই এড়িয়ে চলেন। তবে এমন অবস্থাতেই এই রুট কিভাবে জেগে উঠতে পারে সেটাই বারবার দেখিয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে আহমেদপুর কাটোয়া রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনকে। তাদের দাবি মূলত আরো বেশি করে ট্রেন এই রুটে চালানোর।

আরও পড়ুন: কালীপুজোর বিসর্জন ঘিরে ধুন্ধুমার! তুলকালাম কাণ্ডে আহত ৫ জন, আটক ২ জন

সম্প্রতি তারা ২২ অক্টোবর বুধবার একটি গণ ডেপুটেশন দেন জ্ঞানদাস কান্দ্রা স্টেশন ও কীর্নাহার স্টেশনে। এই ডেপুটেশনে তারা মূলত তিনটি বিষয়ের উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেন। যে তিনটি বিষয় রেল কর্তৃপক্ষ আগ্রহের সঙ্গে দেখলে আহমেদপুর কাটোয়া রুট তরতড়িয়ে জনপ্রিয়তা পেতে পারে।

প্রথমত, আহমদপুর-লাভপুর-কাটোয়া শাখার সমস্ত স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা রেলকর্মী ও স্টাফ নিয়োগ, যাতে ট্রেন চলাচল আরও নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন হয়।

দ্বিতীয়ত, ‘মা ফুল্লরা ফাস্ট প্যাসেঞ্জার’ নামে একটি নতুন ট্রেন চালু, যা পাকুড়, রামপুরহাট অথবা আহমদপুর থেকে ভোরবেলায় ছেড়ে (ভায়া লাভপুর, কীর্ণাহার, কাটোয়া, ব্যান্ডেল হয়ে) হাওড়া যাবে এবং সন্ধ্যায় একই পথে ফিরে আসবে। প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুযায়ী পাকুড় থেকে ৩:৪৫, রামপুরহাট থেকে ৪:৪৫, আহমদপুর থেকে ৫:৩৫ এবং কাটোয়া থেকে ৬:৩০-এ ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে।

তৃতীয়ত, হাওড়া-বর্ধমান-রামপুরহাট মেইন লাইনে অতিরিক্ত ট্রেন চলাচলের কারণে বর্ধমান স্টেশনে যে দুর্ঘটনা ও বিলম্ব ঘটে, তা এড়াতে কিছু দূরপাল্লার ট্রেন, যেমন ১৩০৫৩/১৩০৫৪ কুলিক এক্সপ্রেস, আহমদপুর-লাভপুর-কাটোয়া-ব্যান্ডেল রুটে চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা আশা প্রকাশ করেছেন, পূর্ব রেলের প্রশাসন এই দাবিগুলির প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।