একেবারে নতুন জীবন পেল একটি অবলা প্রাণ! হ্যাঁ, ওই অবলা প্রাণীটিকে এমন নতুন জীবন দেওয়ার পিছনে যাদের রুদ্ধশ্বাস প্রচেষ্টা, যাদের তারিফ না করলেই নয় তারা হলেন গ্রামবাসী এবং দমকল বাহিনী। ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল?
বীরভূমের সিউড়ি থানার অন্তর্গত সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের পূর্ব কালীপুরের ডোমপাড়ায় শনিবার মধ্যরাত থেকে একটি ছোট্ট গলির মধ্যে আটকে যায় একটি ষাঁড়। রাতভর ওই ষাঁড়টি সেখান থেকে বেরোনোর হাজার প্রচেষ্টা চালালেও বেরোতে পারেনি। এমনকি পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে এলাকার বাসিন্দারা এক প্রকার ভেবে নিয়েছিলেন আর হয়তো ওই ষাঁড়টিকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। তবে তারা এমনটা ভাবলেও কিন্তু প্রচেষ্টার শেষ রাখেননি।
আরও পড়ুন: আতশবাজি, ঢাক ঢোল! ঠাকুমার শেষ যাত্রায় সে-কী আয়োজন, কিন্তু কেন
ষাঁড়টি এইভাবে একটি পাচিল এবং একটি বাড়ির দেওয়ালের মাঝে আটকে থাকার পর রবিবার দিনের আলো ফুটতেই দমকল বাহিনীকে ডাকা হয়। এদিকে এলাকার অনেকেই জড়ো হয়েছেন। কিন্তু ষাঁড়টিকে উদ্ধার করার উপায় কেউ খুঁজে পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে দমকল বাহিনী এসে জানান, পাঁচিলের অংশ না ভাঙ্গলে কোনভাবেই ষাঁড়টিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব নয়।
এমন পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচিলের মালিকপক্ষ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে কথা বলে প্রাচীর ভাঙ্গার অনুমতি দেন। আর তারপরেই শুরু হয় পাঁচিল ভাঙার কাজ। আধ ঘন্টার বেশি সময় ধরে পাঁচিলের অংশ যত্ন সহকারে ভেঙ্গে শেষমেষ ওই ষাঁড়টিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা এইভাবে দুটি দেওয়ালের মাঝে আটকে থাকার পর ষাঁড়টির শারীরিক অবস্থা নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় ছিল। তবে খুবই ভালো খবর এটাই যে, ষাঁড়টি সেখান থেকে বের হওয়ার পর নিজেই পায়ে হেঁটে অন্যত্র চলে যায়।
