চাল ডাল নুন তেল কিছুই নেই! আর এই সব কিছু না থাকার কারণে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার খুলতেই আসছেন না অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মীরা। কেননা খাবার দিতে না পারলেই নানান প্রশ্ন তুলতে থাকেন গ্রামবাসীরা, এমনকি কখনো কখনো বিক্ষোভের মতো ঘটনাও ঘটে। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার বন্ধ কয়েকদিন ধরে।
কোন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার বন্ধ ৫/৭ দিন ধরে, কোনটি আবার বন্ধ ২০-২৫ দিন ধরে। প্রত্যেকটি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারেই একই সমস্যা, আর সেই সমস্যা হল খাবারের অভাব। আর এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন মিড ডে মিল বা খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষুদেরা, ঠিক সেই রকমই আবার পঠন পাঠন থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ওমনি ভ্যানে ২২, ইকোতে ২৬! গাড়িতে প্যাসেঞ্জার দেখে রীতিমতো থ ট্রাফিক পুলিশ অফিসার, অবাক কাণ্ড বীরভূমে
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই সকল অধিকাংশ গ্রামের বাসিন্দারা দুস্থ দরিদ্র পরিবারের হওয়ার কারণে তাদের কাছে খাবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে কারণে ভালোভাবে যাতে খাবার দেওয়া হয় সেই বিষয়টি দেখা দরকার।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, খাবার নিয়ে এমন সমস্যা বিভিন্ন সময় হয়ে থাকে। যে সকল অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে এমন সমস্যা দেখা যায় বা তৈরি হয়েছে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়গড়া গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার, যেটি ২০ থেকে ২৫ দিন ধরে তালা বন্ধ, এছাড়াও গোখরুল গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার অন্ততপক্ষে সাত দিন ধরে তালা বন্ধ।
এমন সমস্যার কথা দুবরাজপুর ব্লকের বিডিও জয়সূর্য চক্রবর্তীকে জানানো হলে তিনি জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে এবং যে সকল অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের অবস্থা খারাপ রয়েছে সেগুলির জন্য টাকা বরাদ্দ করে দ্রুত মেরামতি করানো হবে।