টলিউডের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। যিনি গত রবিবার বেলা ১২:৫৯ মিনিটে দীর্ঘ লড়াই শেষ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। মাত্র ২৪ বছর বয়সে এই প্রতিভাবান অভিনেত্রীর মৃত্যু টলিপাড়া সহ সারা বাংলাকে থমথমে করে দিয়ে গেছে। তাঁর এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউই। কারণ এর আগেও তিনি দুবার ভয়ংকর মারণরোগের সাথে লড়াই করে ফিরে এসেছিলেন।
কিন্তু না, এবারে আর পারলেন না। তৃতীয়বারে এসে হার মানতে হলো তাঁকে। একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা চলাকালীন প্রথম ঐন্দ্রিলার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন। তখন তার বোনম্যারো ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। দিল্লির এইমসে দীর্ঘ দুই বছরের চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
যদিও সেই সময় তাঁর বিশেষ বন্ধু সব্যসাচীর সাথে আলাপ হয়নি। ১৮ বছর বয়সে ঐন্দ্রিলা ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে জিতে ফিরেছিলেন। তারপরেই তার অভিনয় জগতে প্রবেশ। তার প্রথম কাজ ছিল ঝুমুর ধারাবাহিক। সেখানে এসেই, ঝুমুরের সেটে আলাপ হয় ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর। সেখান থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পরে যা আস্তে আস্তে প্রেমের সম্পর্কে রুপ নেয়। তারপর দীর্ঘ ৫ বছর তাদের সম্পর্ক চলে।
এই সম্পর্কে থাকাকালীন অবস্থায় ২০২১ সালে ফুসফুসের টিউমার ধরা পড়ায় আবারও ঐন্দ্রিলাকে জীবন যুদ্ধে লড়াই করতে হয়। আর সেই সময় সব্যসাচী সব সময় তাঁর পাশে ছিল। তবে এবারেও তার বিশ্বাস ছিল সে ঐন্দ্রিলাকে নিজের হাতে ভালো করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু তা আর হলো না। তবে কেমন আছে এখন সব্যসাচী? সেই নিয়ে সব্যসাচীর বন্ধু সৌরভ দাস জানিয়েছেন, “সব্য এখন ভেঙে পড়েছে, ঐন্দ্রিলার পরিবারও ভেঙে পড়েছে, তবে সব্যকে বলেছি এক ফোঁটা চোখের জল যেন না পড়ে, কারণ ঐন্দ্রিলার পরিবারকে তাঁকেই সামলাতে হবে।”
এছাড়া সৌরভ দাস ফেসবুকে পোস্ট করে এও জানিয়েছেন যে, “ফেসবুকে আর কখনো কোনো পোস্ট করবে না সব্য। কারণ ‘মিষ্টি’র কথাতেই সে সবকিছু লিখতো। তাঁর আত্মার সাথে ‘মিষ্টি’র আত্মা মিশে আছে।” তাদের একে অপরের ভালোবাসা ছিল জিয়নকাঠির মতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অপূর্নই থেকে গেল তাঁদের ভালোবাসা। নিয়তির কাছে হার মানতে হলো তাঁদের ভালোবাসাকে।