ভালোবাসার (Love) জন্য সব কিছুই করা যায়৷ আর তাই বোধহয় রাজমিস্ত্রির (Mason) ‘প্রেমে’ বাড়ি ছাড়লেন সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রী। তবে এর পর থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশের হাতে ধরা পরে ওই রাজমিস্ত্রি ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের স্ত্রী।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে গোপীবল্লভপুর থানা এলাকায় (Extra Marital Affairs Case in Jhargram)। জানা গিয়েছে, ধৃত রাজমিস্ত্রির নাম কারিবুল পাঠান। বাড়ি বাঁকুড়ায়। সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ১নং ব্লকের সমাধিপাড়ার বাসিন্দা ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি গোপীবল্লভপুর থানায় কর্মরত৷ বছর ১৪ আগে গোপীবল্লভপুরের ১নম্বর ব্লকের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volenteer)। তাঁদের ১৩ বছর এবং সাড়ে ৫ বছরের দুটি ছেলে রয়েছে।
এর আগে বাবা-মায়ের সঙ্গে স্ত্রীর পারিবারিক অশান্তির জেরে বাবা-মাকে আলাদা রেখে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার স্ত্রী ও পুত্রদের নিয়ে সমাধিপাড়ায় নতুন বাড়ি করে চলে যান। তাঁদের বাড়ির পাশে একটি বাড়িতে বছর দেড়েক আগে ভাড়া আসেন বেশ কয়েকজন ভিন জেলার রাজমিস্ত্রি ও ফেরিওয়ালা। তার মধ্যেই ছিলেন এই রাজমিস্ত্রিও।
সেখান থেকেই ভালোবাসার শুরু৷ ওই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারেরও। সিভিক ভলান্টিয়ারকে ‘কাকু’ এবং তাঁর স্ত্রীকে ‘কাকিমা’ বলেই ডাকতেন ধৃত রাজমিস্ত্রি। আর সেই রাজমিস্ত্রির ‘প্রেমে’ মজেছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রী। শেষমেশ দুই ছেলে ও স্বামীকে রেখে সংসার ছাড়েন স্ত্রী।
এরপর অপহরণের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। তারপর বাঁকুড়া থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ। গোপীবল্লভপুরের এসডিপিও কৃষ্ণগোপাল মীনার দাবি, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁকুড়া থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।