নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggilng) ঠিক আট মাস আগে রাখি পূর্ণিমার দিন গ্রেপ্তার হন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর আসানসোল এবং আসানসোল জেল থেকে তার এখন ঠাঁই হয়েছে তিহারে (Tihar)। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যাবেলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডল (Sukanya Mondal)।
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার একাধিক ঘনিষ্ঠ এবং মেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ইডি আধিকারিকদের নজরে ছিলেন। একাধিকবার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলকে তলব করে ইডি। তবে সেই সকল তলব দিনের পর দিন এড়াতে দেখা যাচ্ছিল সুকন্যাকে। বেশ কয়েকবার তলব এড়ানোর পর বুধবার হঠাৎ তার গ্রেফতার হওয়ার খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর, প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সুকন্যা মণ্ডল আগে থেকেই জানতেন তিনি ইডির মুখোমুখি হলেই গ্রেফতার হতে পারেন? প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি গ্রেফতারি এড়ানোর জন্যই এইভাবে বারবার তিনি ইডির তলব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন? এই সকল প্রশ্নের মধ্যে সুকন্যা মন্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে পূর্বাভাস মোটামুটি আগেই ছিল বলে মনে করে বিশেষজ্ঞ মহল।
সুকন্যাকে গ্রেফতার করার পিছনে যে যে কারণ রয়েছে?
১) সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গরু পাচার কাণ্ডে তদন্তে অসহযোগিতা করা, বিভ্রান্তি তৈরি করার এবং তদন্তকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়া।
২) একাধিকবার ইডি আধিকারিকরা দিল্লিতে সুকন্যাকে তলব করলেও বারবার তিনি সেই তলব এড়িয়েছেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এইভাবে গরহাজিরা এবং গরহাজিরা থাকার কারণ সঠিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি ইডি আধিকারিকদের কাছে।
৩) বুধবার দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে সুকন্যা মন্ডলের বয়ানে বলে জানা যাচ্ছে।
৪) সুকন্যা মন্ডলের বিরুদ্ধে যে সকল তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তার গ্রেপ্তারির জন্য যথেষ্ট ছিল বলেই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।