নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০০০ টাকার (2000 rs notes) নোট নিয়ে গত দু’বছর ধরেই নানান জল্পনা চলছিল। ধীরে ধীরে বাজার থেকে কমে যাচ্ছিল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নোটটি। তবে এরই মধ্যে গত ১৯ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) জানিয়ে দেয় বাজার থেকে ২ হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই ঘোষণার পর ফিরে আসে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের নোট বন্দির (demonetisation) স্মৃতি।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবারের এই সিদ্ধান্ত অর্থাৎ ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়াকে নোট বন্দি বলতে চাইছে না বা তার সঙ্গে তুলনা করছে না। কেননা বাজার থেকে এই নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও নাগরিকদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হচ্ছে নোট পরিবর্তনের জন্য। এছাড়াও আগেই অনেক ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোট বন্দি হওয়ার পর দেশে চালু করা হয়েছিল নতুন ৫০০ টাকা এবং ২০০০ টাকার নোট। বর্তমানে এই ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে বদলে নেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২৩ মে ২০২৩ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। এখন প্রশ্ন হল যদি কোন ব্যাঙ্ক (Bank) ২০০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করে তাহলে কি করবেন?
একবারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট ব্যাংকে জমা করা যেতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী। সেক্ষেত্রে কোন ব্যাংক যদি নোট নিতে অস্বীকার করে তাহলে ঘাবড়ানোর দরকার নেই। গ্রাহকরা এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ জানাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রাহকদের অভিযোগ জানাতে হবে।
আরও পড়ুন : আপনার কাছে ২০০০ টাকার নোট থাকলেও ঘাবড়াবেন না, আগে জেনে নিন RBI-র নির্দেশিকা
এখন গ্রাহকের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যদি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৩০ দিনের মধ্যে কোনো সদুত্তর না দেয় অথবা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সমাধান বা উত্তর গ্রাহকের পছন্দ না হয় তাহলে তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় অভিযোগ জানাতে পারবেন। গ্রাহকরা অভিযোগ জানাতে পারবেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক–ইন্টিগ্রেটেড ওম্বাডসম্যান স্কিম (আরবি-আইওএস), ২০২১-র অধীনে থাকা অভিযোগ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পোর্টালে।