This worker earns more than his boss: মুকেশ আম্বানি শুধুমাত্র ভারতের নয় গোটা বিশ্বের ধনীতম শিল্পপতিদের মধ্যে একজন। এছাড়াও তিনি এশিয়ার ধনী শিল্পপতিদের মধ্যে অন্যতম স্থানে রয়েছে। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন ধনপতি মুকেশ আম্বানির কিছু বিশেষ গুণের কথা। শুধু অর্থের দিক থেকে নয় মনের দিক থেকেও তিনি যথেষ্ট বড় মাপের। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির মালিক মুকেশ আম্বানি সব সময় আপদে বিপদে তার কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু কেন তার কোম্পানির এক কর্মী (Nikhil Meswani) তার থেকে বেশি বেতন পান?
সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি এক আশ্চর্য কাজ করেছেন। সম্প্রতি তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির পুরনো সহকর্মী মনোজ মোদিকে উপহার দিয়েছেন পনেরশো কোটি টাকার একটি বাড়ি। এর থেকে প্রমাণ হয় তার উদার হৃদয়ের কথা। এই ধনকুবের মুকেশ আম্বানির থেকেও তার এক কর্মী, নাম হলো নিখিল মেসওয়ানি (Nikhil Meswani), যে কিনা নয় কোটি টাকা বেশি বেতন পান। কি কারণে বেতনের এত বিশাল রকম তারতম্য? শুনলে অবাক লাগলেও ঘটনাটি কিন্তু একেবারে সত্যি।
স্বাভাবিকভাবেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার হলেন মুকেশ আম্বানি। তাহলে আপনি এটাই ভাববেন যে, মুকেশ আম্বানির বেতন সবথেকে বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু আদতেও ঘটনাটি এমন নয়, মুকেশ আম্বানির থেকেও ৯ কোটি টাকা বেশি বেতন পান তারই কোম্পানির একজন কর্মী। নিখিল মেসওয়ানি (Nikhil Meswani) ৩৭ বছর ধরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে যুক্ত। এমনকি এখানে তার বড় বড় প্রকল্প রয়েছে। এই ব্যক্তিটির সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে আম্বানি পরিবারের। ক্রিকেট ফ্রাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর সাথে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
এই নিখিল মেসওয়ানি আসলে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। তাই স্বভাবতই পরিবারের সাথেও তার সম্পর্ক খুবই ভালো। এই নিখিল মেসওয়ানির আসল পরিচয় হলো তিনি মুকেশ আম্বানির ভাগ্নে। নিখিল মেসওয়ানির (Nikhil Meswani) বাবা রসিকলাল মেসওয়ানি ছিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আর তার আরেকটি পরিচয় হল তিনি ধীরুভাই আম্বানির কাকাতো ভাই। নিখিল এর অবদান রিলায়েন্স পেট্রো কেমিক্যাল ব্যবসাতে অতুলনীয়। এমনকি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পরিচালনার দায়িত্ব সেই নিখিলেরই কাঁধে।
১৯৮৬ সালে নিখিল প্রথমবার রিলায়েন্সকে যোগদান করেছিলেন। গত ৩৭ বছর ধরে তিনি নিষ্ঠার সাথে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত কাজকর্ম এবং দায়িত্ব পালন করে গেছেন। নিখিলের দাদা হিতাল মেসওয়ানি কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক। প্রথমবার রিলায়েন্স পেট্রোকেমিক্যালে প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন নিখিল। নিখিল নির্বাহী পরিচালক হয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে। নিখিল মেসওয়ানি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ শালির মধ্যে কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা রিফাইনারি ব্যবসাকে উচ্চতার শিখরে নিয়ে যান। নিখিলের ভূমিকা রয়েছে রিলায়েন্স জিও এবং রিলায়েন্স রিটেল এর ক্ষেত্রে। ফোর্বস এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, এক দশক ধরে মুকেশ আম্বানির বেতন প্রায় ১৫ কোটি টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে নিখিল মেসওয়ানির বেতন হয়েছে ২৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ হিসাবে বলে নিখিল মেসওয়ানির বেতন কিন্তু মুকেশ আম্বানির থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা বেশি।