Hemkund Sahib Yatra : বিশ্বের সর্বোচ্চ গুরুদ্বার অবস্থিত এখানে। হিমালয়ের কোলে শান্ত পরিবেশ সবাইকে মুগ্ধ করে। নেমে আসে প্রশান্তি। কষ্টকর যাত্রা শেষে চোখের সামনে নেমে আসে প্রকৃতির রূপের ডালি। স্বাভাবিকভাবেই পূর্ণ অর্জনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করতে মানুষ পৌঁছে যান হিমালয়ের কোলে অবস্থিত হেমকুণ্ড সাহিবে। কিন্তু চাইলেও আর সকলে চলতি বছরে যেতে পারবেন না সেখানে। কারণ চামেলী প্রশাসনের নতুন নিষেধাজ্ঞা।
প্রথমেই জেনে নেওয়া হেমকুন্ড সাহিব কি? হেমকুন্ড সাহিবের আক্ষরিক অর্থ তুষারের লেক। এটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ গুরুদ্বার। সমুদ্রতল থেকে ৪৬৩৩ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এটি। বর্তমানে লক্ষণ মন্দির সহ পুরো এলাকা ৭-৮ ফুট পুরু তুষার চাদরে আবৃত। হেমকুন্ড সাহিবের প্রাকৃতিক শোভা তার তুষারাবৃত চেহারার জন্য। আর সেই তুষারই এবার নিরাশ পড়ছে পর্যটক তথা পুণ্যার্থীদের।
নতুন নির্দেশিকায় কি বলা হয়েছে? কেন সেখানে সমস্ত পর্যটকরা যেতে পারবেন না? উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলা প্রশাসন নির্দেশিকাy স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, শিশু এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স, তারা যেতে পারবে না এখানে। প্রাকৃতিকভাবে অতি সুন্দর হলেও এই জায়গা শিশু এবং বয়স্কদের জন্য হতে পারে প্রাণঘাতী। অতিরিক্ত ঠান্ডার জন্য সমস্যায় পড়তে পারেন তারা। সেজন্য নতুন নিষেধাজ্ঞা এ বছরের জন্য জারি করেছে চামোলি জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২০ মে থেকে হেমকুন্ড সাহিবের খুলে দেওয়া হয়েছে পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের জন্য। হেমকুন্ড সাহিব পৃথিবীর সর্বোচ্চ গুরুদ্বার। সেখানে যেতে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু নতুন এই নির্দেশিকায় পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। যারা হেমকুণ্ড সাহিব যাত্রার পরিকল্পনা করছেন, তাদেরও জেনে রাখতে হবে পরিবারে শিশু অথবা ৬০ বছরের উর্ধ্বে কেউ থাকলে, তাদের এখানে নিয়ে যাওয়া যাবে না। অনুমতি ভঙ্গ করে এই জায়গায় পৌঁছানোর অনুমতি দেবে না প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে তীব্র তুষারপাত শুরু হয়েছে এলাকায়। তাই ঝুঁকি এড়াতে এবছর হেমকুন্ড সাহিব যাত্রায় শিশু এবং বয়স্কদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল উত্তরাখন্ড সরকার। বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, “হেমকুন্দ সাহিবে ৭ থেকে ৮ ফুট তুষার জমে রয়েছে। তার ফলে শিশু এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদের হেমকুন্দ সাহিব যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।