নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা, পৌরসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এবার আসতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। বিজেপির তরফ থেকে এবার পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসনে টার্গেট করা হয়েছে। বিজেপির ৩৫টি আসন টার্গেট করার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই চাপ বেড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। এই চাপের মধ্যে এবার নতুন করে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে নওশাদ সিদ্দিকীর (Nawshad Siddique) আইএসএফ (Indian Secular Front)।
নওশাদ সিদ্দিকীর আইএসএফ এবার কেবলমাত্র ভাঙ্গরের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকতে চাইছে না। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেই জনপ্রিয় তাকে কাজে লাগিয়ে বিপুল সংখ্যক আসন তাদের তরফ থেকেও টার্গেট করা হচ্ছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং বামেদের সঙ্গে জোট হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও এবার যদি তাদের সঙ্গে সমঝোতা না হয় তাতেও কোনরকম আপত্তি নেই ভাইজানের দলের।
ভাইজানের দল আইএসএফ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কারো সঙ্গে সমঝোতা হোক চাই না হোক অন্ততপক্ষে ১০ থেকে ১২টি আসনে প্রার্থী দিতে চাইছে। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বড় ভোট ব্যাংক হল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এক্ষেত্রে ভাইজানের দলও ফুরফুরা শরীফকে কেন্দ্র করে আগামী দিনে সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের পকেটে পুড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য রণকৌশল তৈরি করা হচ্ছে।
আইএসএফের তরফ থেকে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ফুরফুরা পঞ্চায়েতে পর্যালোচনা বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি হবে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে তাদের তরফ থেকে যে ১০ থেকে ১২ টি আসন টার্গেট করা হয়েছে সেগুলির অধিকাংশ প্রার্থীরাই হবেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদারা। এই সকল আসনের মধ্যে আবার সব কটিই যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসন থাকবে এমন নয়।
যে সকল আসন টার্গেট করা হচ্ছে তা সম্পর্কে সূত্র মারফত যা জানা গিয়েছে তা হল, উলুবেড়িয়া, বারাসাত, বসিরহাট, মুর্শিদাবাদের তিনটি আসন, মালদহের দু’টি আসন, রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের মত জেলার একাধিক আসন। এক্ষেত্রে সংখ্যালঘু প্রধান এলাকা থাকার পাশাপাশি থাকছে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি আইএসএফ এই সকল আসনে প্রার্থী দিতে সক্ষম হয় তাহলে আগামী লোকসভা নির্বাচনের লড়াই আরও জমে যাবে।